বাগেরহাট প্রতিনিধি : প্রতিদিনই বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার উৎপাদিত কৃষি ফসল ঢাকায় যাচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু হবার পর এলাকার উৎপাদিত ফসলের চাহিদা বাড়লেও ফসলের দাম বাড়েনি সেভাবে। জানা যায়, ফকিরহাট, বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটি, সিএন্ডবি বাজার, পোলেরহাট, উৎকুল, বারাকপুর, শ্রীঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বসে কৃষি ফসলের বড় বাজার। এসব বাজারে সকালে এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরণের ফসলের বাজার পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সিএন্ডবি বাজার, শ্রীঘাট ও বাজারপুরসহ বাগেরহাট সড়কের উপরের বাজারগুলি ফসলের সমারোহে ভরে ওঠে। এ সব বাজারে উৎপাদিত এলাকার বিভিন্ন কৃষি ফসলের মধ্যে টমেটো, মূলা, কপি, লাউ, চাল কুমড়া, করলা, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে ও শসা উল্লেখযোগ্য। এ সকল পণ্য এলাকার হাটবাজার গুলিতে খুব কম দামে বিক্রি হলেও ঢাকায় গিয়ে তা ৪/৫ গুণ দামে বিক্রি হয়। এ সময় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদিত ফসলের মধ্যে লাউ, টমেটো, শসা উল্লেখযোগ্য। কৃষকদের অভিযোগ তারা তাদের সবজির মূল্য খুব কম পাচ্ছে, অথচ এসব সবজি রাজধানীতে বিক্রি হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। অপরদিকে ঢাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তাদের অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় হয়। সময় মত গন্তব্যস্থলে সবজি পৌছাতে না পারার কারনেও সবজি নষ্ট হয়। আড়তদারদের কমিশন, ঢাকার আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং সর্বশেষ ঢাকার খুচরা বিক্রেতাদের দোকান ভাড়া সহ বিভিন্ন কারনে পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়। এছাড়া ট্রাক ড্রাইভারদের অভিযোগ বিভিন্ন স্থানে সমিতির নামে চাঁদা ও তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে পন্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় হয়। সব মিলিয়ে হাত বদলে এলাকার উৎপাদিত পণ্য রাজধানী ঢাকাতে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। এলাকার কয়েকজন কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, “কারও চিংড়ি ঘেরের পারে লাউ, ঝিঙ্গে, কারও ফসলী জমিতে মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, বেগুন, করলা ও শসাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন তারা।