নিজস্ব প্রতিবেদক : তানিয়া বিউটি পার্লার এন্ড শপিংমলের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল,থানায় সাধারণ ডায়েরী ও গণ মাধ্যমে ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হয়েছে। স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় তা খারিজ করে দিয়েছে। আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তানিয়া বিউটি পার্লার এন্ড শপিংমলের স্বত্বাধিকারী নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,দেশী-বিদেশী সুনামধণ্য রূপচর্চা বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দীর্ঘ দেড়যুগের পরিশ্রমে তার প্রতিষ্ঠানটি দাড়িয়েছে। একজন সফল নারী উদ্দ্যোতা হিসেবে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পুরুষ্কার পেয়েছেন। তার এই সফল্যে ইর্ষান্নিত হয়ে একটি স্বার্থন্নেষি মহল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে নানা ধরণের কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন। তানিয়া ইসলামও একজন নারী উদ্যোক্তা। তানিয়ার সফল কর্মকাণ্ডে ইর্ষান্নিত হয়ে একটি স্বার্থন্নেষি মহল নারী উদ্যোক্তা তানিয়া ও তার বিউটি পার্লার নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার ও বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত আফরিন জামান লিনা ও আমার প্রতিষ্ঠানের সাবেক তিনজন কর্মচারী যাদেরকে আফরিন জামান লিনা ফুসলিয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় তিনটি জিডি করেন। যার নম্বর ১৬২৩, ১৬২৪ ও ১৬২৫, তারিখ- ২১/০২/২০২৩ ইং। যা তদন্ত করেন এস আই উত্তম কুমার। তিনি উক্ত তিনটি জিডি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ বিচারক আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে উল্লেখিত তিনটি জিডি খারিজ করে দিয়েছেন। এছাড়া আফরিন জামান গত ১২/২/২০২৩ জাতীয় ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেন।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন এর তদন্তে অভিযোগগুলো প্রমাণিত না হওয়ায় গত ৩০/৩/২০২৩ ইং তারিখে উক্ত ভোক্তা অধিদপ্তর সেই সকল অভিযোগগুলো খারিজ করিয়া দেন। ষড়যন্ত্রকারীরা এখানে থেমে থাকেননি। কথিত সংবাদিক মাহাফুজুর রহমান খানের অনলাইন নিউজ পোর্ট্রাল ফাষ্ট নিউজ এবং দেশ টিভির রিপোর্টার মোঃ অসিম তানিয়ার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আফরিন জামানের সাথে যোগসাজসে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দ্বারা সংবাদ প্রচার করেন। যা গণমাধ্যমের নীতিমালা পরিপন্থি। উক্ত সাংবাদিকদ্বয় নিজেদের সার্থ হাচিলে ব্যথ্য হয়ে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে পুঁজি করে একের পর এক মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। এ ধরনের মিথ্যা প্রচারনার ফলে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এছাড়া আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মাহাফুজ ও অসিমসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে গত ১১ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(১)(ক)/২৯(১) ধারায় বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতের নির্দেশে পিবিআই তদন্তে আছে। তিনি প্রভাবমুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তানিয়া ইসলাম দাবি করেন,একটি বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর সাথে প্রতারণা ও জোরপূর্বক শ্লীতাহানীর চেষ্টা করার অভিযোগে আদালতে অসিমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন। যার একটি পণ্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রক আইনে ও অন্যটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি আদালত সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তানিয়া বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র নারীদের উন্নত মানের রূপ চর্চা, শরীর চর্চা ও উন্নতমানের প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রয় করা হয়। রাষ্ট্র, সমাজ বা পরিবারের উপর বোঝা না হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করিয়েছে। যার ফলে অসংখ্য নারীর নিরাপদ কর্মস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ কর্মচারী এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
তানিয়া বিউটি পার্লারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা
Leave a comment