তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের এক এতিম প্রতিবন্ধীর জমি জোর করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষরা।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম ডা. মো. মোশাররফ হোসেন বিগত ৩০-০৩-২০২৩ তারিখ স্ট্রোকজনিত কারণে হঠাৎ মৃত্যুবরণ করলে তার বিধবা স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৫) একটি কলেজ পড়ুয়া মেয়ে, একটি প্রতিবন্ধী ছেলে ও একটি নবজাতক ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বসত ভিটায় বসবাসের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার শাশুড়ি কোহিনুর বেগম(৬৫) ননদ নাছিমা (৪৫) ও আসমা (৪৩) তাদের স্বামী সন্তান মিলে রাজিয়াকে পুত্র-কন্যাসহ বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘর বাড়ি ও জমাজমি ভোগ দখলের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিধবা রাজিয়ার বসতঘরে ও রান্না ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শাশুড়ি কোহিনুর বেগম। ফলে এক বেলা অনাহারে কাটে এতিম প্রতিবন্ধী ও নবজাতকের। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিন ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় বসতঘর ও রান্না ঘরের তালা খোলা হয়। সেই একই রাতে বিধবা রাজিয়া সুলতানা ও তার সন্তানদের উপর চলে অতর্কিত আক্রমন। তাদের শারিরীকভাবে অত্যাচার করা হয়। কোহিনুর বেগমের কন্যা নাছিমা বেগমের পুত্র শরিফুল ইসলাম বাবু ওই বিধবা ও তার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয়।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। অহেতুক হয়রানির উদ্দেশ্যে কোহিনুর বেগম ও অন্যান্যরা বাদি হয়ে, রাজিয়া, তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সাদিয়া সুলতানা, মা আছিয়া খাতুন ও ভাই মো. জাহিদুল ইসলামের নামে জাতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক তদন্তকারি কর্মকর্তা আবু হানিফ বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে ফাঁড়িতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিলে বাদী কোহিনুর বেগম বা তার কোন প্রতিনিধি পুলিশ ফাড়িতে উপস্থিত হয়নি। এসকল বিষয়ে গ্রামবাসির পক্ষ থেকে একাধিক বার গ্রাম্যশালিসে বসার চেষ্টা করেও কোহিনুর বেগম ও তার মেয়েদের শালিসে হাজির করাতে পারেনি। রাজিয়া তার স্বামীর সম্পত্তিতে তাদের প্রাপ্য অংশ বুঝে পাওয়ার আশায় এবং ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করে। থানা থেকে ০৬-১০-২৩ বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে বিবাদী পক্ষ ১৩-১০-২৩ তারিখ শুক্রবার বিকালে থানার বসবে বলে মৌখিকভাবে সময় প্রার্থনা করেছে।