
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। মাটি ব্যবস্থাপনা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় অর্ধযুগ ধরেই কাজটি করে চলেছেন উপজেলার বিভিন্নস্থানে অবস্থিত একাধিক ইটভাটা। উপজেলার বলরামপুর গ্রামে অবস্থিত একটি ইটভাটার পাশ্ববর্তী কৃষিজমি ও লোকালয় থাকা স্থানীয় কৃষকরা সেখানে ভাটা স্থাপনে আপত্তি জানায়। তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে নির্মাণ করা হয় ইটভাটা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শামছুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, প্রথম থেকেই গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তারা ভাটা নির্মাণে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালীরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করে ভাটা নির্মাণ করেন। ভাটার চুল্লি জ্বালানো হলে আশপাশের মাটি গরম হয়ে যায়। চিমনি দিয়ে ধোঁয়ার সঙ্গে ছাই বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভাটা নির্মাণের পর থেকে এ অঞ্চলের জমিতে ফসল উৎপাদন হৃাস পেয়েছে। ফলে এখনকার কৃষকের জীবিকার তাগিদে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তর হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প শেষ হবার পর থেকেই ভাটাটি বেড়িবাঁধের মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বহুবার অভিযোগ দেওয়া হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি । সরেজমিনে তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কপোতাক্ষ পাড়ে একটি এস্কাভেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে বেড়িবাঁধের মাটি। অন্য একটি এস্কাভেটর দিয়ে তা আবার সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নদী পাড়ে ঘুরে দেখাযায়, ক্রমাগত মাটি কাটার ফলে বিশাল আকৃতির বেড়িবাঁধ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অবস্থানকারী ঐ ভাটার ব্যবসায়ীক শরিক হাজ্বী আব্দুর রহমান বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জমির মালিক ও স্থানীয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাটার কাছে বেড়িঁবাধের মাটি বিক্রয় করেছে। আমরা তাদের নিকট থেকে মাটি কিনছি। এবিষয়ে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত খান জানান, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। ভাটা কতৃপক্ষকে কাজ স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

