তালা প্রতিনিধি : তালায় পরকীয়া সম্পর্কের কারণে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করা হচ্ছে বলে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বামী আলতাফ বিশ^াসকে তালাক না দিয়ে স্ত্রী শিউলি বেগম তালা বাজারে ভাড়া বাসায় পরকীয়া প্রেমিকের সাথে অবৈধভাবে বিয়ে করে ঘর-সংসার করছে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর শিউলি বেগমের ভাড়া বাসার প্রতিবেশিরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের মালেক বিশ^াসের ছেলে মো. আলতাফ বিশ^াস অভিযোগে জানান, ২০০৩ সালে পারিবারিকভাবে প্রসাদপুর গ্রামে বসবাসকারী আমজেদ শেখের মেয়ে শিউলি বেগমকে বিয়ে করেন। বর্তমানে তাদের ঘরে ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং বড় কন্যাকে ইতোমধ্যে বিয়ে দেয়া হয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে স্ত্রী শিউলি বেগম এলাকার বিভিন্ন পুরুষের সাথে একের পর এক অনৈতিক সর্ম্পকে জড়িয়ে ২ বার আপত্তিকর ভাবে ধরা পড়ে। এনিয়ে সংসারে বিরোধ তৈরি হয় এবং একপর্যায়ে স্ত্রী শিউলি বেগমের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু স্ত্রীর অনুরোধে সংসার ও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও তাকে বিয়ে করে ঘরে ফিরিয়ে আনি।
হতভাগ্য স্বামী আলতাফ বিশ^াস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুনরায় ঘর সংসার করার ৫/৬ মাস পরে স্ত্রী শিউলি বেগম এলাকার বাহারুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সাথে আবারও পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে তাতে বাঁধা দিই। পরবর্তীতে সেই পরকীয়া প্রেমিকের পরামর্শে স্ত্রী শিউলি বেগম আমার নামে (আলতাফ বিশ^াস) সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে নারী নির্যাতনের মামলা করে। একই সময়ে আমার সংসার ও সন্তানদের ফেলে স্ত্রী শিউলি বেগম তালা বাজারে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছে। পরে খোজ নিয়ে জেনেছি- আমাকে তালাক না দিয়ে বাহারুল নামের সেই পরকীয়া প্রেমিককে অবৈধভাবে বিয়ে করে তার সাথে সংসার করছে। তালা মেলা বাজারের ওই বাসার মালিক সহ আশপাশের লোকের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর সেখানে যেয়ে প্রতিবাদ করলে স্ত্রী শিউলি বেগম নানাবিধ হুমকি প্রদান করে। এঘটনার পর থেকে মামলা, সন্তান ও সংসার নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে আলতাফ বিশ^াস।
এব্যপারে শিউলি বেগম বলেন, স্বামীর নির্যাতনের কারনে বাড়ি ছেড়ে তালায় এসে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছি। আর বাহারুল ইসলামকে আমি বিয়ে করেনি বা তার সাথে কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই। ধর্মের ভাই হিসেবে সে আমার বাসায় আসা-যাওয়া করতো। জানতে চাইলে বাহারুল ইসলাম বলেন, শিউলির সাথে আমার কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই। বোনের বান্ধবী হওয়ায় আমি তার বাসায় যেতাম।
তবে, শিউলি বেগমের ভাড়া বাসা সংলগ্নে বসবাসকারী একাধিক ব্যক্তি বলেন, তার ঘরে বিভিন্ন সময়ে বাহারুল নামের ওই লোকটি আসা-যাওয়া করায় বাড়ির মালিক সহ আমরা বিষয়টি জানতে চাইলে শিউলি বেগম বলে- আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে বাহারুল ইসলামকে বিয়ে করেছি। তবে, পূর্বের স্বামীকে দেওয়া তালাকনামা দেখাতে না পারায় বাড়ি মালিক তাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলেছে। এবিষয়ে অন্য পুরুষের সাথে অবৈধভাবে সংসার করায় স্বামী আলতাফ বিশ^াস প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তালায় পরকীয়া প্রেমের জেরে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর অভিযোগ!

Leave a comment