তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার চোমরখালী মৌজার আনুমানিক সাড়ে ৬০০ বিঘা মাছের ঘের নিয়ে জুয়েল খান ও বিএনপি নেতা মাহমুদুল সরদার এবং আকবর গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। জুয়েল খান ও বিএনপি নেতা মাহমুদুল সরদারের দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন সুসম্পর্ক ছিল এবং তারাসহ গ্রামের বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীরা ও গ্রামবাসী মিলেমিশেই চোমরখালীর এই বিলে সুখে শান্তিতে মাছ চাষ করতেন। এমনটাই গ্রামবাসী জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঘের মালিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘ একসাথে ১৫/২০ বছর ধরে এই ঘেরে যৌথভাবে মাছ চাষ করতো। কিন্তু উভয় গ্রুপের মধ্যে স্বার্থের রেষারেষিতে এবং ঘেরে আব্দুল রাকিব ও আদু সরদারের ঘেরে শেয়ারের টাকা এখনো পর্যন্ত পরিশোধ করেনি বরং তাদেরকে অপমান এবং লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
জুয়েল খান জানিয়েছেন, আমি ঘেরে দখলে আছি জমির মালিকদের হারি নিয়ে এবং ডিড নিয়ে ঘেরে তার কিছু ছাড়া বাধা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন এবং আরো বলেছে আমি এখন ক্ষতিগ্রস্ত।
এদিকে মাহমুদুল সরদার আকবর মোড়ল, রুহুল আমিন মল্লিক জানিয়েছেন, জমির মালিকরা আর জুয়েল খানকে জমি ঘের করতে দিতে চায়না, তারা মানুষকে অপমান করেছে অপদস্ত করেছে। জমির মালিকদের সাথে তারা বেয়াদবি করেছে এখন আর কোন পেশি শক্তির কাছে আর মাথা নত করা হবে না, সে যত বড় ক্ষমতাধর রাজনৈতিক দলের নেতা হোক না কেন। প্রয়োজনে রক্ত দিতেও প্রস্তুত আছি। তবুও সন্ত্রাসীদের সাথে আর হাতে জমি হারি দেওয়া হবে না। এদিকে গত শনিবার জমি গেড়ে চাষ করতে কলের লাঙ্গল গেলে গ্রামবাসী সেখানে বাধা প্রদান করে জমি চাষ বন্ধ করে দেন এ নিয়ে বিপরীত দুই গ্রুপের ভিতরে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গত মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে একাধিক এস্কেভেটর নিয়ে এই ঘেরের বেড়ি বাধতে গেলে জুয়েল ও আকবর মাহমুদুল বাইরের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যান। পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তালার দক্ষিণাঞ্চলের ৬০০বিঘা মাছের ঘের নিয়ে টানটান উত্তেজনা!

Leave a comment