
শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা : বড়দিনসহ টানা তিনদিনের ছুটিতে সুন্দরবনের কটকা এখন দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় মুখর। শুক্রবার এ মৌসুমের সর্বচ্চো সংখ্যক দুই সহস্রাধিক পর্যটক কটকায় গেছেন। গত এক সপ্তাহে চার সহস্রাধিক পর্যটক কটকাসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে গেছেন বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের অন্যতম পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার মোঃ মতিউর রহমান শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোনে বলেন, সুন্দরবনে পর্যটকের ঢেউ লেগেছে। প্রতিদিন লঞ্চ ও জাহাজে করে শত শত পর্যটক সুন্দরবনে আসছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) একদিনে এ মৌসুমের সর্বচ্চো সংখ্যক ৩৮টি জাহাজে করে দুই সহস্রাধিক পর্যটক কটকা পর্যটন কেন্দ্রে এসেছেন। পর্যটকেরা কটকায় মায়াবী চিত্রল হরিণের ছোটাছুটি এবং নদী ও খালের চরে কুমিরের রোদ পোহানোর দৃশ্য দেখে পুলকিত হচ্ছেন। তা ছাড়া পর্যটকরা কটকার জামতলা সীবীচে ঘোরাঘুরি এবং কেউ কেউ সাগরের পানিতে গোসল করছেন বলে কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান। সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন ও ট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেষ্টার মোঃ আজাদ কবীর বলেন, বড়দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল নেমেছে। শুক্রবার বিপুল সংখ্যক দেশী বিদেশী পর্যটক করমজলে বেড়াতে এসেছেন। ট্যুর অপারেটর অব সুন্দরবন (টোয়াস) এর সেক্রেটারী নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, সুন্দরবনে বর্তমানে পর্যটকের প্রবাহ বাড়লেও গত বছরের তুলনায় এ বছর কম সংখ্যক পর্যটক সুন্দরবনে যাচ্ছেন। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে পর্যটকের যাতায়াত বেড়েছে। সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বিভাগীয় দপ্তর থেকে ২৫ ডিসেম্বর ১৮টি ট্যুর পারমিশন ইস্যু করা হয়েছে। ১৮টি পারমিশনে ৬১১ জন দেশী ও ১৩ জন বিদেশী পর্যটক সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের নির্ধারিত রাজস্ব জমা দিয়েছেন। সুন্দরবনে ভ্রমণের সময় পর্যটকদের গাইড সাপোর্টসহ সার্বিক নিরাপত্তায় বনরক্ষীরা নিরলস কাজ করেন বলে ডিএফও জানিয়েছেন।

