
তেরখাদা প্রতিনিধি : বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তেরখাদা উপজেলা প্রশাসন ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় বাল্যবিবাহের হার কমে এসেছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামানের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাল্যবিবাহ সংঘটিত করার অপরাধে তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের অভিযানে অর্ধশতাধিক মানুষ আইনের আওতায় এসেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের কঠোর অভিযানে বাল্যবিবাহ সম্পাদনে অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বাল্যবিবাহ মুক্ত তেরখাদা গড়তে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তেরখাদা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে চলেছেন। বাল্যবিবাহের খবর শুনলেই ছুটে যান। তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অবিরাম পথ চলছেন। এক বছরেরও বেশি সময় তিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ রোধ করছেন। তিনি বাল্যবিবাহের সুফল-কুফল সম্পর্কে সকলকে অবহিত করণসহ বাল্যবিবাহ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা সম্পর্কেও বর্ণনা করেছেন। বাল্যবিবাহ সংঘটিত করাসহ বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় এ পর্যন্ত তিনি প্রায় শতাধিক লোককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের বিচক্ষণতা এবং নিরলস পরিশ্রমের কারণে তেরখাদা উপজেলায় বাল্যবিবাহ কমে গেছে। তেরখাদা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ এখন বাল্যবিবাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক বিবাহ নিবন্ধক জানান, বিবাহ নিবন্ধকদের মধ্যে দুই একজন আছে তারা রেজিষ্ট্রি বইতে না তুলে টাকার চুক্তিতে বাল্যবিবাহ সম্পাদন করছেন। বয়স পূর্ণ হলে তারা মূল বইতে তুলে থাকেন। সরকারি আইন উপেক্ষা করে দুই-একজন বিবাহ নিবন্ধক বছরের পর বছর ধরে কালো টাকা আয় করছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করে দুই-একজন বিবাহ নিবন্ধক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। সুধীজন বলেন, যেখানে সরকার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করে একটি স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন, সেখানে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে ওই অসাধু দুই-একজন বিবাহ নিবন্ধক। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বাল্যবিবাহ সংঘটিত হলেই আইনী ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবেনা।