জন্মভূমি রিপোর্ট
তেরখাদায় অর্থের বিনিময় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। স্বাধীনতার পর ৯১জন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। এর মধ্যে ৬৫জন মারা গেছেন। বর্তমানে ২৬জন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন। কতিপয় দুর্নীতিবাজ মানুষ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তেরখাদা থানা কমান্ডের দায়িত্ব পালন কালে ঘুষ নিয়ে ভুয়াদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর ব্যবসা শুরু করে। বাড়তে থাকে এর সংখ্যা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তেরখাদার উত্তর খুলনা মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. আব্দুল জলিল শেখ। সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যার বয়স ছিল মাত্র ৪-৫বছর তারাও টাকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হতে থাকে। এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে খান মোহাম্মাদ ও চৌধুরী আবুল খায়ের। জেলা কমান্ডার ও ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সাথে অর্থের বিনিময় এই ব্যবসা শুরু করে। এই দু’জন তেরখাদায় যুদ্ধ না করে তেরখাদার মুক্তযোদ্ধাদের যাছাই বাছাই কমিটিতে রয়েছে। বর্তমানে এই উপজেলায় ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা ৪৬২জন।
সম্মেলনে তিনি বলেন, এই দু’জন আরো ৯৫০জনকে জন প্রতি ৭লাখ টাকা করে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধা বানানোর প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে। টাকার বিনিময় মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে খান মোহাম্মাদ ও চৌধুরী আবুল খায়ের যাছাই বাছইেয়ের দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। ৯৫০জনের মধ্যে ৯৭১ সালে ২০০জনের বয়স ছিল ৪-৫বছর। স্বাধীনতার ৫০বছর পর ঘুষ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভূক্ত হবার অপচেষ্টায় লিপ্তদের এখনই প্রতিগত করতে হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার কারণে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই কমিটিতে তেরখাদার উত্তর খুলনা মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. আব্দুল জলিল শেখকে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘুষ বানিজ্যদের বিচার দাবি করেন।
এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ উকিল উদ্দিন, শেখ গাউসুল হক, শেখ আ. রাপজ্জাক, জেড এ ওসিকুর রহমান, এম এ ওয়াদুদ ও মুন্সি হেকমত আলী উপস্থিত ছিলেন।
তেরখাদায় ৪৬২জন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা
Leave a comment