আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় নিজ বসতঘরে নামাজ পড়া অবস্থায় দুর্বৃত্তের হামলায় এক নারী আহত হয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টায় উপজেলার দশমিনা ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্বপাশে এই ঘটনা ঘটে। আহত ঐ নারীর নাম মোসাঃ আমেনা বেগম(৬২) এবং তিনি আলহাজ¦ মোঃ ইউনূস মিয়ার স্ত্রী। গুরুতর আহত ঐ নারীকে এলাকার লোকজন দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে তার স্বামী মোঃ ইউনূস মিয়া তারাবি নামাজ পরতে মসজিদে যান। মোসাঃ আমেনা বেগমও তারিবি নামাজ পড়ার জন্য জায়নামাজে বসেন। ভুল বসত সামনের দরজার ছিটকানি দেয়নি। দড়জা খোলা পেয়ে কে বা কাহারা ঘরের মধ্যে ঢুকে নামাজ পড়া অবস্থায় তার মাথায় কোপ দেয় এবং ডান হাতে বাড়ি দেয়। তিনি ডাক চিৎকার করে নামাজের জায়নামাজের উপর অজ্ঞান হয়ে পরে যান। পাশের লোকজন ডাকচিৎকার শুনে ঘরে প্রবেশ করে কাউকে দেখতে পাননি। মোসাঃ আমেনা বেগম জায়নামাজের উপর অজ্ঞান হয়ে পরে আছেন মাথা থেকে রক্ত ঝড়ছে। তারা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। রাত আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের সময় কয়েকজন মোসাঃ আমেনাকে অজ্ঞান আবস্থায় নিয়ে আসেন। তার মাথায় কোপের আঘাত ৪টি সেলাই লাগে এবং ঘাড়ের উপরে ১ টি সেলাই লাগে। তিনি বর্তমানে আশংকামুক্ত ।
আহত মোসাঃ আমেনা খাতুন জানান, রোজা ছিলাম বাসায় আমি আর আমার স্বামী থাকি। রাতে স্বামী তারাবীর নামাজ পড়তে মসজিদে গেলে আমি ও তারাবির নামাজের জন্য বসি। ৮ম রাকাত নামাজের সেজদা দেওয়ার জন্য বসলে কে বা কাহারা আমার পিছন থেকে এসে মাথার উপর কোপ দেয়। আমি একটি চিৎকার দেই তারপর অজ্ঞান হয়ে পরি। পরবর্তিতে দেখি হাসপাতালে। আহতের স¦ামী মোঃ ইউনুস মিয়া জানান,আমাদের সাথে কারো শত্রুতা নেই। হয়তো আমার অনুপস্থিস্তির কারনে ঘরে মালামাল চুরির করার জন্য আমার স্ত্রীর উপর হামলা করেছে। ডাকচিৎকার করায় পালিয়ে যায়। থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, ঘটনার বিষয় শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনার বিষয় অবহিত হয়েছি। হামলাকারীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দশমিনায় দুর্বৃত্তের হামলায় নারী আহত

Leave a comment