আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫টি বিলের পানি নিস্কাশন ও সংরক্ষনের জন্য জলকপাট নির্মান করা হয়। উপজেলা সদরের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত খান বাড়ির বিল, হাজীকান্দার বিল, গোলখালীর বিল, কাজীকান্দার বিলের একাংশ ও কাউনিয়া বিলের একাংশের পানি নিস্কাশন এবং সংরক্ষনের জন্য খান বাড়ি সংলগ্ন খালে কালভার্টের নিচে এই জলকপাট নির্মান করা হয়। বর্ষা মৌসুমে ৫টি বিলের পানি নিস্কাশনে এবং শুস্ক মৌসুমে ফসলি জমিতে পানি ধরে রেখে সেচ কাজের জন্য এই জলকপাট স্থাপন করা হয়।
উপজেলা সদরের এই ৫টি বিলে বর্ষা মৌসুমে পানি পরিপূর্ন ধাকায় দেশী প্রজাতির মাছ প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। অপরদিকে শুস্ক মৌসুমে বিল পানি শূন্য হয়ে পড়ে। পানি না থাকায় কৃষকেরা জমিতে সেচ দিতে পারে না। ফলে কৃষকেরা সীমাহীন দূর্ভোতে পড়তে হয়। বিলের মধ্যে সামান্য পানি থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। এই সামান্য পানি দিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার করা যায় না। তাই শুস্ক মৌসুমের সময় পানির চাহিদা পূরনের জন্য খালে জলকপাট দিয়ে পানি সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রান্তিক কৃষকরা খালের সংরক্ষিত পানি দিয়ে ফসলি জমিতে সেচ দিতে পারছে। উপজেলা সদরের এই ৫টি বিল ও এর বিস্তীর্ন ফসলি জমিতে এক সময় প্রচুর ধান উৎপাদন হতো। এছাড়া বিলের পানিতে দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যেত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বিলসহ খাল এখন পানি শুন্য হয়ে পড়ছে। কৃষিকাজের জন্য জলকপাটে সংরক্ষিত পানি সেচ দিয়ে ফসলি জমিতে দেয়া হচ্ছে।
দশমিনায় পানি নিস্কাশন ও সংরক্ষনে জলকপাট নির্মান

Leave a comment