দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকরা গ্রীম্মকালীন সবজিসহ করলা ও শষাসহ ১২ মাসি শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছে। কম খরচ ও উৎপাদন বেশী হওয়ায় কৃষকরা এই পদ্ধতিতে সবজি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপজেলাকে কৃষি বান্ধব ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে নিরলসভাবে কাজ করছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন পূর্ব দশমিনার কৃষানী মোসাঃ খাদিজা বেগম ১শ’ শতাংশ জমিতে টিয়া সুপার জাতের করলা এবং আলাভী জাতের সষার চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি-রেইনস) এর আওতায় বারমাসি সবজির জন্য মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছেন। তার উৎপাদন খরচ ৩০ হাজার টাকা হয়েছে।তিনি উৎপাদিত করলা ও শষা প্রায় ১লক্ষ টাকা বিক্রি করেছেন। তিনি মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে খরচ ও উৎপাদন বেশী হয়। উপজেলায় কৃষিতে দিন দিন আধুনিকতার ছোঁয়া,নতুন নতুন কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার,নানা ধরনের প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করায় কৃষানীর জীবনমান উন্নত ও কৃষির চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। প্রান্তিক কৃষানীরা বারো মাসি সবজি চাষের জন্য মালচিং পদ্ধতিকে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে গ্রীম্মকালীন সবজি ছাড়াও করলা, শসা, বেগুন চাষাবাদ করছে। কৃষক-কৃষানীরা লাভবান হওয়ায় মালচিং পদ্ধতির চাষাবাদের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কৃষক-কৃষানীরা লাভবান হওয়া এবং কৃষিতে লোকসান কমাতে মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে উৎসাহ পাচ্ছে। কৃষি জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে চাষ করছে। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে জমিতে আগাছা ও পোকার আক্রমন তেমন হয় না।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানায়,অত্র উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফসলের উৎপাদন ভাল হওয়ায় প্রান্তিক কৃষানীরা লাভবান হচ্ছে। মালচিং পদ্ধতিতে ফসলের চাষ একটি আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। কৃষক-কৃষানীদের এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দশমিনায় প্রান্তিক কৃষকরা গ্রীম্মকালীন সবজি চাষে হচ্ছে লাভবান

Leave a comment