
আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল,দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সড়ক কিংবা বসতঘরের আশেপাশে দেশি প্রজাতির হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছ এখন আর আগের মতো চোখে পড়ছে না। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিনিয়ত দেশী প্রজাতির গাছগুলো বিলুপ্ত হতে চলছে। প্রকৃতিকে সাজাতে এবং আলোকিত করতে দেশি প্রজাতির এই গাছগুলোর শাখা-প্রশাখায় রক্তিম ফুলে ভরে উঠতো। গাছে গাছে পাখির কলকাকলি আর কিচির মিচির শব্দে প্রকৃতিতে নব জীবন ফিরে আসতো। ফুলে ফুলে রঙিন করা হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছের রক্তিম ফুল এখন আর দেখা মিলছে না। জ্বালানী কাঠের প্রয়োজনে গাছগুলো কেটে ফেলার কারনে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে চলে গেছে।
উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পথে-প্রান্তরে হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছ চোখে পড়তো। গাছে গাছে রঙিন ফুল চারিদিক মুখরিত করে সৌরভ ছড়াতো। বসন্তকালে ফুলের অপরূপ হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য শোভা বৃদ্ধি করতো। এক সময়ে গ্রামাঞ্চলে হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলতো। কালের বিবর্তনে গাছগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভাবেই প্রকৃতিতে এই গাছগুলো জন্মে থাকে। রোপন কিংবা গাছের কোন পরিচর্যা করতে হয় না। প্রকৃতির নিয়মেই আপনা আপনি বেড়ে উঠে। বসন্তকালে গাছের শাখায় শাখায় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। ফুল ফুটলে লাল,নীল,রঙিন হয়ে উঠে। ফুলের সৌরভে আকৃষ্ট হয়ে কোকিলসহ অন্যান্য পাখি গাছের চারপাশে উড়তে থাকে। ফুলের রঙিন উচ্ছ্বাসে প্রকৃতিতে আনন্দঘন ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। গাছের নিচে মাটির উপর পড়ে থাকা ফুলগুলো যেন প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বিছানা বিছিয়ে দেয়। এমন দৃশ্য এখন আর দেখা মেলে না।
উপজেলার গ্রামাঞ্চলের সড়কের আশেপাশে হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছ অযত্ন এবং অবহেলায় দেখতে পাওয়া যায়। তবে আগের মতো গাছগুলো পরিমানে বেশি নেই। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও দশমিনা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছ কদাচিৎ পাওয়া গেলেও হিজল-তমাল-জারুল গাছ চোখে পড়ে না। গাছগুলো যেন দূর্লভ হয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই গাছ এবং ফুলের সাথে পরিচয় নেই। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং পরিবেশ রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাে হিজল-তমাল-জারুল ও কৃষ্ণচূড়া গাছ বপন করা প্রয়োজন।