বিধান চন্দ্র ঘোষ দাকোপ (খুলনা) : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার খুলনার দাকোপে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতি মধ্যেই আমন ধান কাটার ধুম পড়ে গেছে। বাজারে ধানের দামও ভালো পেয়ে দারুণ খুশি কৃষকরা। এতে করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভের আশা কৃষকদের। ফলে আগামীতে উচ্চফলনশীল ধানের আবাদ আরও বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গত বছরের মত এবারও মোট ১৯ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপসি ১৭ হাজার ১৮৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ১ হাজার ৯৮০ হেক্টর ও হাইব্রিড ২০০ হেক্টর। বর্তমানে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালি পাকা ধান। ধানের ভারে যেন নুয়ে পড়েছে বেশিরভাগ জমির ধান গাছ। ইতিা মধ্যেই বেশির ভাগ জমির ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। বিঘা প্রতি ধানের ফলন হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ মণ। আর বাজারে ধানের ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা হচ্ছেন দারুণ খুশি। তবে সবচেয়ে ভালো ফলন হয়েছে উফসি ব্রি ধান ৮৭, ৭৮, ২৩, ১০৩, ১০, ও ৯৫ জাতের।
চুনকুড়ি এলাকার কৃষক তাপস মন্ডল বলেন, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে ব্রি ১০ ধানের চাষ করেছেন। এতে তার বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৩৩ শতকের বিঘা প্রতি ধান পেয়েছেন ১৮ থেকে ১৯ মন। বাজারে ধানের দাম অনুসারে খরচ বাদে তার ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা লাভ থাকবে। তবে সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবারে উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। এখন তিনি তরমুজ চাষ শুরু করবেন বলে জানান।
ধানের ব্যবসায়ী পানখালী এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সাপ্তাহিক হাটে তিনি কৃষকের কাছ থেকে নতুন ২৩ ধান ১২০০ থেকে সাড়ে ১২০০ টাকা মন, আর ১০ ধান ১৩০০ থেকে সাড়ে ১৩০০ টাকা মন কিনেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আমনের খুব ভালো ফলন হয়েছে। তা ছাড়া পোকা মাকোড়ের আক্রমনও অনেক কম ছিলো এবং সারের দামও অনুকুলে ছিলো। উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধানের ফলন অনেক বেশি হওয়ায় আগামী মৌসুমে এ ধানের আবাদ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
দাকোপে আমন ধানের বাম্পার ফলন

Leave a comment