জন্মভূমি রিপোর্ট
রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা থেকে খুলনা শহরে প্রবেশ মুখের খেয়াঘাটগুলোতে শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল। এতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ কর্মস্থলে না যেতে পেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন। রূপসা ঘাটে পারাপারের ভাড়া এক টাকা বাড়ানোর দাবিতে শনিবার প্রথম প্রহর রাত ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ধর্মঘট আহবান করা হয়েছিল। অন্য খেয়াঘাটগুলোর ট্রলার চালক সমিতির নেতারা তাদের সংহতি জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও বিকেল ৫ টার পরে বিএনপি’র সমাবেশ শেষ হওয়ার খবরে খেয়াঘাটগুলো হতে যাত্রী পারাপার শুরু হয়ে যায়।
সকাল থেকেই রূপসা, সেনেরবাজার, কালীবাড়ী, আমতলা ঘাটসহ নগরীতে প্রবেশের অন্যান্য খেঁয়াঘাট গুলো বন্ধ ছিল। ট্রলার গুলো ঘাট থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। সেনের বাজার ঘাটে ফেরি চলাচলও বন্ধ ছিল। খেঁয়া ঘাটগুলোর অদূরে বাঁশ দিয়ে বেরিকেড তৈরি করে রাখা হয়েছিল। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষ কর্মস্থলে না যেতে পেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। সকাল ৯ টার দিকে একজন গর্ভবতী নারী হাসপাতালে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজাপুর ও কাচারিঘাট খেঁয়াঘাট পার হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, রূপসা খেঁয়া ঘাট পাটনীজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ রেজা বেপারী বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জ¦ালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনার প্রেক্ষাপটে তারা পারাপার ভাড়া জনপ্রতি এক টাকা বাড়ানোর ধর্মঘট পালন করছেন। তাদের যাত্রী পারাপার ভাড়া তিন টাকা থেকে চার টাকা করার দাবি হলেও সেনের বাজার, কালীবাড়ী ও আমতলা খেয়াঘাটের ভাড়া আগে থেকেই চার টাকা, তবে আপনাদের ধর্মঘট কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে দু’টি খেয়াঘাটের পাটনিজীবী সমবায় সমিতির দুই জন নেতা বলেন, তারা রূপসা খেঁয়াঘাটের ট্রলার চালকদের সাথে সংহতি জানিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন।
ধর্মঘটে খেয়াঘাটগুলো বন্ধ থাকায় জনভোগান্তি
Leave a comment