
জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীতে ছাদ বাগান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মিটবে আমিষের চাহিদা। অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হবে।
জলবায়ুর প্রভাবে নগরে স্থানান্তরিত অভিবাসী ও দরিদ্র পরিবারসমূহের অভিযোজিত জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন প্রকল্প-এর অধীনে নগরের ৫টি ওয়ার্ডের ৯ টি স্লামের ২০জন যুবক ও যুবমহিলাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মঙ্গললবার ৩দিন ব্যাপী দৌলতপুর হর্টিকালচার সেন্টার ছাদ কৃষির উপরে প্রশিক্ষন শেষ হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এন্ড কো-অপারেশন বি এম জেড এর যৌথ অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ রিজিলিয়েন্ট এন্ড লাইভলিহুড প্রোগ্রামের আওতায় জিআইজেড এর আর্থিক সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভফাউন্ডেশন নগরীর ১২,১৩,১৪,৩০ এবং ৩১ নংওয়ার্ডে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
শহরে গ্রীন জোন তৈরী করার উদ্দেশ্যে এই ওয়ার্ডসমূহ হতে ২০ জন তরুণ-তরুণীকে ছাদ কৃষির উপরে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে ৩টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। সততা গার্ডেনিং, একতা গার্ডেনিং এবং পদ্মা গাডেনিং নামে নামকরন করা হয়। পরবর্তিতে এই সকল দলের নামে সিটি কর্পেরেশন হতে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে এদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপশি অংশগ্রহণকারীদের সহায়তায় জিআই জেডের অর্থায়নে শহরে ২টি ছাদ বাগান তৈরীরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হর্টিকালচার সেন্টারের উপ পরিচালক সঞ্জয় কুমার দাস এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জিআই জেড উপদেষ্ঠা আতিয়ার রহমান। তত্ত্বাবধানে ছিলেন হর্টিকালচার সেন্টারের প্রশিক্ষক সুজিত মন্ডল, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা সোহেলী সুলতানা ও ফিল্ড সুপার ভাইজার উজ্জ্বল সানা।