হুমায়ুন কবীর রিন্টু , নড়াইল : নড়াইলে ইউপি সদস্য বাসনা মল্লিককে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পুলিশ ফারুক হুসাইন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ফারুক হুসাইন দৌলতপুর গ্রামের উসমান মোল্যার ছেলে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেল’র এসআই আলী হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ফারুককে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী মেম্বার বাসনা মল্লিক গত ২৪ ডিসেম্বর দাপ্তরিক কাজসহ উপকারভোগীদের মাঝে টিসিবি’র পণ্য দিতে মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যান। কাজ শেষে নিজ বাড়ি মাইজপাড়ার পোড়াডাঙ্গা গ্রামে ফেরার পথে পাশের দৌলতপুর গ্রামের পরকীয়া প্রেমিক রজিবুলের মোবাইল ফোন পেয়ে তার কাছে পাওনা ১০ হাজার টাকা আনতে সেখানে যান। এরপর পরকীয়া প্রেমিক রজিবুলকে নিয়ে একান্তে একটি বদ্ধ ঘরে অবস্থান করছিলেন। কিছু সময় পর তার কয়েকজন বন্ধু সেখানে গিয়ে বাসনাকে ধরে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এরপর লোকলজ্জার ভয়ে বাসনা মল্লিক বিষ জাতীয় কিছু পান করেন। ওই দিন (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার দিকে বাড়িতে গিয়ে খাবার খায়। খাওয়ার পর বমি শুরু করেন বাসনা। এরপর তার অসুস্থতা বেড়ে গেলে পরের দিন ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২৬ ডিসেম্বর রাতে মারা যান। এরপর শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ বাসনা মল্লিককে গণ-ধর্ষনের পরে তাকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। বাসনা’র পরিবারের দাবি মৃত্যুকালে বাসনা তার উপর নির্যাতনকারিদের নাম প্রকাশ করে গেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, ধারনা করা যাচ্ছে পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সে নিজেই বিষ পান করে আত্বহত্যার চেষ্টা করেছে। তবে বিষয়টি অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে স্পষ্ট হবে ও এ বিষয়ে নেয়া হবে। এরই মধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িত মুল হোতা ফারুককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় সকল দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবারসহ এলাকাবাসী।