রেজাউল ইসলাম , নড়াইল : সদর উপজেলা হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার অসীমা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নড়াইল জেলা প্রশাসক, জেলা রেজিস্ট্রার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের নথিসূত্রে যানা গেছে, অসীমা বিশ্বাস এক জন হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার লাইসেন্স ধারী হইতেছে।তিনি এক জন স্কুল শিক্ষিকা হওয়ায় বিবাহ রেজিস্ট্রার কাজ নিজে করেন না। তার লাইসেন্স ব্যবহার করে স্বামী উৎপল বিশ্বাস বিবাহ রেজিস্ট্রার করে আসছেন। স্ত্রীর সাক্ষর ও অনেক সময় নিজ হস্তে সম্পাদন করেন।তিনি বিবাহ রেজিস্ট্রার করতে গিয়ে নিয়মনীতি কোন তোয়াক্কা করেন না। বাল্য বিবাহ, পুরহিতের সাক্ষর জাল জালিয়াতি সহ সাক্ষিদের জাল সাক্ষর ব্যবহার করেন। যার সুনির্দিষ্ট প্রমান তদন্তে বেরিয়ে আসবে। বেশির ভাগ পালিয়ে বিয়ে করা কিশোর কিশোরীদের ক্ষেত্রে এই অবৈধ প্রথা অবলম্বন করেন তিনি। অসীমা বিশ্বাসের স্বামী উৎপল বিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণত সম্পাদক হওয়ায় তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
আগদিয়া গ্রামের উৎপল বিশ্বাস বলেন, অসীমা রানী স্কুল শিক্ষক। তার স্বামী উৎপল বিশ্বাস এক জন বেকার যুবক এবং ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অনিয়ম ভাবে হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার করে আসছে। আমরা তার এই লাইসেন্স বাদিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে অসীমা বিশ্বাস বলেন, আমি স্কুল শিক্ষিকা। রেজিষ্টার কাজ আমার স্বামী করেন।সেই ক্ষেত্রে পুরোহিতের সাক্ষর বা সাক্ষীদের সাক্ষর কিভাবে দেওয়া এটা সঠিক ভাবে আমি বলতে পারব না।আমি স্বামী এখন রাজনৈতিক মামলায় জেল হাজতে আছে।