জন্মভূমি ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সিসিইউ সুবিধা সংবলিত কেবিনে রেখে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ কথা বলেছেন।
আজ সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি জানান, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। সে কারণেই তাঁকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ভোরে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সোমবার ভোর ৪টা ১২ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২ জুলাই গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। গত ২৫ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়।
এর আগে ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২ জুলাই বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ২২ জুন গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। রাতে মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে তার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেদিন বিকেলেই এই যন্ত্র সফলভাবে স্থাপন করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
এদিকে স্বল্প সময়ে ব্যবধানে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার বার-বার অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় বিএনপিতে উদ্বেগ বাড়ছে।
দলটির নেতারা বলছেন, হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়ার বাসায় ফেরার ১ সপ্তাহ এখনও পার হয়নি। তারমধ্যে আজ ভোরে আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে তিনি খুবই অসুস্থ। ফলে, তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু আমরা ম্যাডামের মুক্তির দাবিতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারিনি। যার কারণে সরকারও তাকে উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, বার-বার ম্যাডাম অসুস্থ হয়ে যাওয়া খুবই চিন্তার বিষয়। ২ জুলাই তিনি যখন বাসায় ফিরেন, তখন অসুস্থ থাকলে মনোবল শক্ত ছিল। এখন আবার তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার মানে তিনি খুব বেশি অসুস্থ।
এ্যানী বলেন, আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য কীভাবে তাকে সুস্থ করে আনতে পারি, সেটাই চেষ্টা করছি। আমরা বারবার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু অবৈধ সরকার অনুমতি দিচ্ছে না।