জন্মভূমি ডেস্ক : স্টেশনে বিকল হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেনের ‘মাস্টার’ শেখ হাসিনা নিজেই। আর সেই নির্বাচনে নৌকায় ৫৭ মিনিটে ৪৫ ভোটে পরিণত হবে। তাই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই এই একতরফা নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের দাবি একদলীয় নির্বাচনী পরিবেশে ভোট প্রদান করা ভোটারদের জন্য এখন আতঙ্কের নাম। রোববার দুপুরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত অবরোধ সমর্থনে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বিজয় নগর ঘুরে পল্টন মোড় এসে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন। জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারের পতনঘণ্টা অতীব নিকটে। আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে এখন বিভিন্ন দলছুট নেতাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছে। দলছুট নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবৈধ ভোটে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যান।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, সরকারের পায়ের তলায় মাটি নাই। তারা এখন পুলিশ বাহিনীর উপর ভরসা করে টিকে আছে।
তারা দেশকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় রাখলে বাংলাদেশ কঠিন বিপদে পড়বে।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, স্যাংশন চাপে আওয়ামী লীগ এখন পশ্চিমা কূটনীতিকদের হাতে-পায়ে ধরা শুরু করেছে। এই ফ্যাসিবাদ সরকার জানে এবার বিদায় হলে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা বাংলার মাটিতে থাকবে না। তাই তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য রাশিয়া -ভারতকে প্রভু প্রভু বলে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন।