
পাইকগাছা অফিস
পাইকগাছায় বাল্যবিবাহের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের এ বিষয়ে তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও গ্রাম্য অসচেতনাতার জন্য এটি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দৃষ্টান্তস্বরূপ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ১২ বছরের কিশোরীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।
জানা যায়, বুধবার সকালে পাইকগাছা জুডিসিয়াল কোর্ট প্রাঙ্গণে অবৈধ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ১২ বছরের এক কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছে এমন সংবাদ গোপনে জানতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম অভিযান পরিচালনা করার জন্য উপজেলা আনসার ও ভিডিপি সদস্যবৃন্দদের কে নির্দেশনা দেন। সে মোতাবেক উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক মো: আলতাফ হোসেন, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, আনসার সদস্য রাকিব ও শচীন এবং ভিডিপি সদস্য আব্দুস সামাদ গাজী অভিযান চালিয়ে উক্ত কিশোরীকে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং বিয়ের বর উপজেলার চাঁদখালী ইউপি’র গজালিয়া গ্রামের সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে মো: তরিকুল ইসলাম (১৯), বরের ভাই মো: রবিউল ইসলাম ও কনের ভাই বিষ্ণুপুর গ্রামের মো: বিল্লাল হোসেনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ছেলের ভাইকে তিন হাজার ও মেয়ের ভাইকে দুই হাজার টাকা অর্থদÐ প্রদান করেন। মেয়ে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবে না মর্মে কণ্যা পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নেন।