জন্মভূমি রিপোর্ট : নগরীর খানজাহান আলী রোডের বাসিন্দা আসিম নামের এক পরিচয়দানকারী প্রতারকের হাত থেকে সুমাইয়া কবির নামের এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবার বাঁচতে চায়। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাঁচার আকুতি জানায়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোনাডাঙ্গা থানাধিন নেছার উদ্দিন সড়কের মো. আনারুল কবিরের কন্যা সুমাইয়া কবির। তিনি বলেন, আসিমের সাথে আমার ২ বছর আগে পরিচয় হয়। আমাকে বিয়ের প্রাস্তাব দেয়। আমি ও আমার পরিবার রাজি হই। পরে জানতে পারি তার স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। এরপর জানিয়ে দেই তাকে বিয়ে করা সম্ভাব নয়। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি আমি তার বাসায় যাই। তার পিতা-মাতা কোথায় জানতে চাই। আমাকে নাস্তা খেতে দেয়। আমি অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ২ঘন্টা পর আমাকে রিক্সায় উঠিয়ে দেয়। গত ২২মার্চ আমার মোবাইলে অশ্লীল ও নগ্ন ছবি পাঠায় এবং আমাকে তার বাসায় যেতে বলে। তা না হলে হুমকি দিয়ে বলে তোর নাদিমকে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়েছি। তোকেও ঢুকাবো। আর তোর ছবি ভাইরাল করে দিবো। আমি বাদি হয়ে অসিমের বিরুদ্ধে আদালতে ১১ এপ্রিল মামলা করি। খুলনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একটি মুসলেকা প্রদান করে মুক্তি পায়। আমার সাথে সে আর কোন যোগাযোগ করবেনা। সে শর্ত ভঙ্গ করেছে। অসিম গাজিপুরের একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা বের করে আমার চাচাতো ভাইকে জেল খাটিয়েছে।
সম্মেলনে তিনি বলেন, এক মহিলা জজের বাড়ি গোপালগঞ্জ। তাকে দিয়ে সকল মামলা নষ্ট করবে। অসিমেরও বাড়িও গোপালগঞ্জ বলে হুমকি দেয়। আমার মামা সিদ্দিকুর রহমানকে ঢাকার গুলশান থানায় মিথ্যা মামলায় ফাঁিসয়েছে। আমার অন্যতম সাহায্যকারী খালাতো ভগ্নিপতি পুলিশের এএসআই আবুল কালাম আজাদ তাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ময়মনসিংহে বদলি করিয়েছে। আমাকে ও আমার পরিবারের ওপর অত্যাচার ও সর্বশান্ত করছে। ২৯আগস্ট আদালতে ১০৭/১১৭ধারা মতে একটি মামলা করেছি। ২৬এপ্রিল আমার স্বাক্ষর জাল করে ২লাখ ১টাকা দেন মোহরে নোটারী পাবলিক হতে বিয়ের হলফনামা ও একটি অঙ্গিকার নামা তৈরী করে। ৩১মে একই ভাবে নোটারী পাবলিক খুলনা কার্যলয় হতে ১০লাখ টাকা দেনমোহরে সে আমার স্বাক্ষর ছাড়া আরো একটি বিয়ের এ্যাফিডেভিট বানিয়েছে। যা আমি তার স্ত্রীর কাছে থেকে পেয়েছি। তিনি এই প্রতারকের বিচার দাবি করেন।