শেখ আব্দুল হামিদ : আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় আগমন উপলক্ষ্যে সার্কিট হাউজ ময়দানে তৈরী হচ্ছে নৌকা এবং পদ্মা সেতুর আদলে সভামঞ্চ। আগামী ১৩ নভেম্বর তিনি স্মরণকালের সর্ববৃহদ জনসভায় এ মঞ্চে ভাষণ দিবেন। পুলকিত হয়ে উঠেছেন খুলনা বিভাগের নেতাকর্মী এবং আওয়ামীলীগ প্রিয় সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভায় দশ লাক্ষাধিক নারী পুরুষের আগমন ঘটবে বলে নেতাদের দাবী। বেলা ২টার দিকে তিনি সভামঞ্চে তার মহামূল্যবান ভাষণ দিবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বমুহুর্তে খুলনায় তার এ ভাষণের মধ্যদিয়ে আসতে পারে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা।
খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানের পশ্চিম প্রান্তে তৈল হচ্ছে ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট চওড়া দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। মঞ্চের কোথাও ৬ ফুট আবার কোথাও ৭ ফুট উচ্ছতা হবে। এ মঞ্চে থাকবে ৪৫০টি চেয়ার। সাউন্ড সিস্টেম আসছে খোদ রাজধানী থেকে যার নাম ‘কল রেডি’। মঞ্চের সামনে গোটা সার্কিট হাউজ মাঠে জনতার বসার জন্য বিছানো থাকবে ট্রিপল। দৃষ্টিনন্দন এ মঞ্চ তৈরীর কাজে নিয়োজিত সিটি ডেকরেটরের মালিক জাহীদুল ইসলাম বাবু এ তথ্য জানান। মূলমঞ্চের ঠিক উত্তর পাশেই তৈরী চলছে ২৪ ফুট লম্বা ও ১৬ ফুট চওড়া উদ্বোধনী মঞ্চ। যেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী স্লুইচ চেপে ঘোষণা করবেন ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন। উদ্বোধনী মঞ্চ নির্মানে কাজ করছে রাজশাহী জেলার ফ্রেন্ডস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, আজ শুক্রবারের মধ্যেই মঞ্চ তৈরীর কাজ শেষ হবে।
উদ্বোধনী মঞ্চের ঠিক পিছনেই তৈরী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য রেষ্ট হাউজ। শিততাপ নিয়ন্ত্রিত রেষ্ট হাউজের ভিতরে থাকছে বসার জায়গা, নামাজের স্থান, ওয়াসরুমসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা। রেষ্ট হাউজের নির্মামাণে কাজ করছে ঢাকার ‘আহনাফ সলুশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণকর্মীরা জানান, শনিবারের মধ্যেই রেষ্ট হাউজ তৈরীর সার্বিক কাজ শেষ হতে পারে।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভার দিনে হেলিকপ্টার যোগে খুলনা স্টেডিয়ামে অবতরণ করবেন। তিনি স্টেডিয়ামের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্ত দিয়ে সমাবেশ স্থলে যাবেন। আগামী দু’দিনের মধ্যেই এসব কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যে জনসভার মাঠ ও মঞ্চ তৈরির কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসএম কামাল হোসেন, বাহাউদ্দিন নাসিমসহ অন্যান্যরা।
জনসমাবেশে বিভাগের দশ জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে নেতাকর্মীদের আগমন ঘটবে। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়মীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, শুধুমাত্র বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকেই ৬০ হাজারের উর্ধে নারী-পুরুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিবেন। জনসভায় যাতায়াতের জন্য ৫৫০টি বাস এবং ট্রাক পস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া নদীপথের জন্য থাকছে ২০০ ট্রলার।
খুলনা জেলা আওয়ামীলগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী খুলনায় আসছেন। আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। খুলনার মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বইছে। জনসভার মাঠে শুধু আমাদের মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঢল থাকবে। আর পুরুষ নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করবেন। প্রায় দশ লাখেরও বেশি মানুষ সমবেত হবে জনসভায়।
তিনি আরও বলেন, খুলনার জন্য আমাদের নেত্রী ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল হাইটেক পার্ক, আবু নাসের হাসপাতাল, বিভিন্ন সড়কসহ বহু উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছেন। আমরা আগামী ১৩ তারিখের জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপন্তারিত করতে চাই।