প্রায় দুই লাখ শিশুর প্রাথমিক পরীক্ষা, এরই মাঝে শিক্ষকদের কর্মবিরতী
দাবি আদায়ের কর্মসূচি পরীক্ষায় প্রভাব ফেলবে না: আন্দোলনরতরা
মামুন খান : ৬ মে, মঙ্গলবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে, কয়েকটি দাবি আদায়ের লক্ষে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যনারে খুলনার বিভিন্ন স্কুলে কর্মবিরতী পালিত হয়েছে। সকল বিদ্যালয়ে হয় নি। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা অনির্দিষ্ট কালের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যদিও এই কর্মসূচি পরীক্ষার আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছেন।
জেলার নয় উপজেলাসহ মেট্রো অঞ্চলে এক হাজার ১শ’ ৬০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন। শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী আছেন ২৬ হাজার ৭ জন। আজ তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা হবে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর এবং দুপুর একটা থেকে সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এদিকে, আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে- সহকারী শিক্ষকবৃন্দ ১৩ তম গ্রেডে চাকুরি করছেন। ১১ তম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি তাদের। তাদেরকে পদায়ন (চলতি দায়িত্ব) দেয়া হয়। যা প্রমোশন নয়। তারা সরাসরি প্রমোশনের দাবি করছেন। এ দাবিতে তারা সকাল ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কর্মবিরতী পালন করছেন। যা পরীক্ষার আয়োজনে একটুও বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। সূত্রটি বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয় তাদের দাবি না মানলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষিত হবে। স্কুলে কর্মবিরতী পালনের ছবি জন্মভূমির সংগ্রহে রয়েছে।
এদিকে, রূপসা উপজেলার শোলপুর যুগিহাটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) শিপ্রা রানী পাল দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, এক ঘন্টার কর্মবিরতী সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। সকাল ১০ টা থেকে দুই ঘন্টা, ১ম থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর এবং দুপুর একটা থেকে আড়াই ঘন্টা, ৩য় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিষয় ইংরেজি। রূপসা উপজেলার মিলকী দেয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিাকা নাসিমা খাতুনও ১ম থেকে পঞ্চম শ্রেনীর পরীক্ষার একই নির্ধারিত সময়ের কথা জানালেন।
খুলনা জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, শিক্ষকদের কর্মবিরতী সম্পর্কে তিনি জানেন না। সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।