জন্মভূমি ডেস্ক : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সাবেক প্রেমিকার বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সম্রাট শেখ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের বড়ুরিয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে গোয়ালঘর ও তিনটি ষাঁড় গুরু পুড়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষতির দাবি মেয়ের পরিবারের।
প্রেমিকা কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘নন্দনালপুর ইউনিয়নের এলংগী গ্রামের ভ্যানচালক বিল্লাল শেখের ছেলে সম্রাট শেখ দীর্ঘদিন ধরে আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পথেঘাটে বিরক্ত করে আসছেন। মাঝেমধ্যে বিয়ের জন্য বাড়িতে লোকও পাঠান। কিন্তু আমরা বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই হুমকি দিতেন। গেলো কয়েকবছর ধরে সম্রাট সৌদি আরব চলে গেছেন। সেখান থেকে সম্রাট নিয়মিত ফোনে আমার মেয়েকে হত্যা ও আমার ঘরবাড়ির জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে শনিবার রাত ১টার দিকে আমার গোয়ালঘর, বসতঘরের প্রবেশপথ ও রান্নাঘরে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেন। সবাই মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনলেও পুড়ে যায় গোয়ালঘর, দুই মণ রসুনের বীজ, শ্যালোইঞ্জিন ও প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের তিনটা ষাঁড় গরু। বখাটে সম্রাট বিদেশ থেকে তার লোকজন দিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে।’
এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘সম্রাটের সঙ্গে চার বছর আগে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় দুবছর আগে সম্পর্ক ভেঙে গেছে। সম্পর্ক ভাঙার পর থেকে পথেঘাটে এসিড নিক্ষেপ, হত্যা ও পুড়িয়ে মারার হুমকি দিচ্ছিল। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশও হয়েছে। সালিশের পরও সম্রাট আমাকে বিরক্ত করছে। আমি সম্রাটের হাত থেকে বাঁচতে চাই।’
এদিকে আগুন দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে সম্রাটের মা স্বর্ণ খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের অনেক দিনের সম্পর্ক। আমরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়েও ওদের বাড়িতে গেছি। কিন্তু মেয়ের বাবা-মা বিয়েতে রাজি না। আমরা কারও বাড়িতে আগুন দিইনি।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’