By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: প্লাস্টিক দূষণ, গ্রাস করছে সুন্দরবনকে
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > জেলার খবর > সাতক্ষীরা > প্লাস্টিক দূষণ, গ্রাস করছে সুন্দরবনকে
তাজা খবরসাতক্ষীরা

প্লাস্টিক দূষণ, গ্রাস করছে সুন্দরবনকে

Last updated: 2025/07/19 at 5:13 PM
করেস্পন্ডেন্ট 2 months ago
Share
SHARE

সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর: সুন্দরবন আমাদের জাতীয় অহংকার, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন, যেখানে প্রকৃতি, প্রাণী ও মানুষের সহাবস্থানের এক অনন্য উদাহরণ গড়ে উঠেছে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার উপকূলজুড়ে বিস্তৃত এই বন প্রতিবছর বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে, বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে কার্বন ধরে রাখে এবং জীববৈচিত্রের ধারক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এই জীবন্ত প্রতিরক্ষা দেয়াল আজ নীরবভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেÑপ্লাস্টিক দূষণের মাধ্যমে।
মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থান বজায় রাখতে ১৯৭২ সালে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত প্রথম ‘বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে’ গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ১৯৭৩ সালে প্রথমবার দিবসটি পালিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর বিশ্বের একটি দেশ আয়োজক হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু তুলে ধরে। ২০২৫ সালে আয়োজক দেশ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ দেশটি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, পুনর্ব্যবহার ব্যবস্থা এবং প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
এবারের প্রতিপাদ্যÑ প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়Ñশুধু একটি স্লোগান নয়, বরং এটি বিশ্ববাসীর জন্য একটি জরুরি বার্তা। প্লাস্টিক একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হলেও বর্তমানে তা পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে মাত্র ২০ লাখ টন প্লাস্টিক উৎপাদন হলেও বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৪৩০ মিলিয়ন টনেরও বেশি। এর ৩৬ শতাংশই একবার ব্যবহারযোগ্যÑযা ব্যবহারের পরপরই বর্জ্যে রূপান্তরিত হয় এবং প্রকৃতি, প্রাণী ও মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করে। সুইজারল্যান্ডের গবেষণায় বলা হয়, প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত প্রায় ১০ হাজার রাসায়নিকের মধ্যে ২,৪০০টির বেশি সরাসরি মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
মাইক্রোপ্লাস্টিক এখন পাওয়া যাচ্ছে আমাদের পানীয় জলে, মাছ-মাংসে, এমনকি শিশুখাদ্য, লবণ ও বায়ুতেও। গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিদিন তৈরি হয় প্রায় ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এর মধ্যে ২৫% সরাসরি মাটিতে, নদীতে বা জলাশয়ে গিয়ে মিশে পরিবেশ দূষণ ঘটায়। ১০% বর্জ্য দাহ্য হলেও বাকি ৬৫% থেকে যায় খোলা পরিবেশেÑযার ক্ষতিকর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি এবং বিপজ্জনক।
পলিথিন নিষিদ্ধকরণ আইনের আওতায় ১৪টি পণ্যে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ হচ্ছে না। রাজধানী থেকে মফস্বলÑসর্বত্রই পলিথিনের অবাধ ব্যবহার ও বিক্রি চলছেই। সুন্দরবন শুধু একটি বনভূমি নয়, এটি একটি বাস্তুতন্ত্র যা জলবায়ু, প্রাণিকুল এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে রক্ষা করে। এখানে রয়েছে প্রায় ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া ও ৪২ প্রজাতির শামুক।
বনজ সম্পদের উপর নির্ভরশীল অন্তত ৩০ লাখ মানুষ। কিন্তু শহর ও গ্রামীণ বাজারের প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য নদীপথে প্রবেশ করে সুন্দরবনের নদী-নালা ও ম্যানগ্রোভ এলাকায় জমা হচ্ছে। বন কর্মকর্তার মতে, “পর্যটকদের মাধ্যমে প্লাস্টিক প্রবেশ, মাছ ধরার ট্রলারে ব্যবহৃত মোড়ক, এবং ভাটির দিক থেকে প্লাস্টিকের আগমন ঠেকানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ।” এছাড়া জমা হওয়া প্লাস্টিক বীজ অঙ্কুরোদগম বাধাগ্রস্ত করে, মাটির উর্বরতা কমায় এবং বনজ বৃক্ষের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করে।
বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবায়নের ঘাটতি রয়েছে। পরিবেশ আইন আছে, কিন্তু অনেক জেলাতে নেই পরিবেশ আদালত। প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা পরিবেশ রক্ষার পথে বড় বাধা। সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আমরা এ দাবী করতে পারি,এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন আন্তঃমন্ত্রণালয় সহযোগিতা, স্থানীয় সরকারগুলোর সম্পৃক্ততা এবং নাগরিক উদ্যোগ। প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত স্থাপন ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদকদের তাদের পণ্যের পরবর্তী বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বাধ্য করতে হবে। ট্রলার ও ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে চুক্তিতে পরিবেশবান্ধব আচরণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। পাট, বাঁশ ও কাগজভিত্তিক মোড়ককে ভর্তুকি দিয়ে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে ‘পরিবেশ শিক্ষা’ বাধ্যতামূলক করতে হবে। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্লাস্টিকবিরোধী প্রচার জোরদার করতে হবে। খুলনার রূপান্তরের মতো সংস্থার মাধ্যমে যুবকদের পরিবেশ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা একটি দৃষ্টান্ত। এ ধরনের উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। ৩৩৩ ও ৩৩৪ নম্বর হেল্পলাইনকে আরও কার্যকর ও সমন্বিত করতে হবে। পরিবেশ লঙ্ঘনের তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষণ ও জরিমানার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
সুন্দরবন রক্ষা করা মানে, বাংলাদেশের উপকূল, প্রাণিকুল, কৃষি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা। প্লাস্টিক দূষণ নিঃশব্দ হত্যাকারীর মতো আমাদের জল, মাটি, বাতাস, বনজ প্রাণী এবং শরীরকে বিষিয়ে তুলছে। আমাদের অঙ্গীকার হোকÑ ‘প্লাস্টিক নয়, টেকসই ভবিষ্যৎ হোক আমাদের পথ।
গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রাণীদের আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র্য উভয়ের জন্যই প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, খুলনা ও সুন্দরবনের কাছাকাছি অন্যান্য অঞ্চলে ব্যবহৃত ওয়ান টাইম প্লাস্টিক এখন এই বনেও প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও, বনটির কাছে ভৈরব নদীর তীরে প্রায়শই প্লাস্টিকের বোতল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের মাধ্যমে এই প্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করছে- যা তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া ও বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। এছাড়া এই প্লাস্টিক দূষণ অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর প্রভাব ফেলছে।
এই ওয়ান টাইম প্লাস্টিক সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করেছে।
অধ্যাপক চৌধুরী বলেন, ‘প্লাস্টিকের কারণে সৃষ্ট দূষণের ভয়াবহতা- খালি চোখে যা দেখতে পাওয়া যায় তার চেয়েও বেশি। বন্যপ্রাণীরা প্রায়শই এই প্লাস্টিকগুলো খেয়ে ফেলে।’
ম্যানগ্রোভ বনভূমি উপকূলরেখাকে ক্ষয় ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে থেকে রক্ষা করে এবং দূষণকারী পদার্থ পরিশোধন করে পানির গুণমান উন্নত করে। এছাড়াও এই বনভূমি অনেক সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য নার্সারি হিসেবে কাজ করে।
প্রতি বছর এই বনের গাছের পাতা, কাণ্ড, শিকড় ও মাটিতে লাখ লাখ টন কার্বন জমা হয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অবদান রেখে যাচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরের তীরে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর ব-দ্বীপে অবস্থিত সুন্দরবন বাংলাদেশের উপকূলীয় সম্প্রদায়গুলোকে বর্ষা মৌসুমে ঘন ঘন আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
অধ্যাপক হারুন চৌধুরী বলেন,‘সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলো এখন প্লাস্টিকে ঢাকা। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’
গবেষণার বেশিরভাগ ফলাফল উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনের তিনটি প্রধান নদীতে কমপক্ষে ১৭ প্রজাতির মাছ ও তিন ধরণের শেলফিশ মাইক্রোপ্লাস্টিক দ্বারা সংক্রমিত।
এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য অধ্যাপক চৌধুরী টেকসই অনুশীলন প্রচারের জন্য দায়িত্বশীল পর্যটন ও ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারকে (রিসাইক্লিং) উৎসাহিত করে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে একটি বৃত্তাকার অর্থনীতি গ্রহণের গুরুত্বের উপর জোর দেন।
তিনি পরিবেশবান্ধব উন্নয়নকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব সবুজের বৃদ্ধির জন্য একটি কৌশল-পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক হারুন চৌধুরী বলেন, ‘প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।’
খুলনার সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাসানুর রহমান ‌বলেন, তারা সমস্ত ট্যুর অপারেটরদের জানিয়েছেন যে, সুন্দরবনে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, প্লাস্টিক শহরের নদী ও খাল দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করছে। এটা বন্ধ করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এ জেড এম হাসানুর রহমান ‌বলেন, ‘আমরা শহর এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত।’
দায়িত্বজ্ঞানহীন পর্যটক আচরণের কারণে সৃষ্ট প্লাস্টিক দূষণ সুন্দরবনের প্রাণীদের বাসস্থানের বিপর্যয় ডেকে আনছে। তিনি পর্যটকদের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক প্রভাব তুলে ধরেন- যা অবশেষে মাইক্রো-প্লাস্টিকে ভেঙে যায়।
এই বন কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া বনভূমির উর্বরতা হ্রাস করে ও বীজ অঙ্কুরোদগমকে বাধাগ্রস্ত করে।’
বন ও নদী বাস্তুতন্ত্রের ওপর প্লাস্টিকের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের চিত্র তুলে ধরে নুরুল করিম সুন্দরবনে প্লাস্টিক দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে ট্রলার-ভিত্তিক ট্যুর অপারেটরদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের অত্যধিক ব্যবহারের জন্য তিনি এদের দায়ী করেন।
উজানের নদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্লাস্টিক উপসাগরে প্রবেশ করে এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বর্জ্যের সাথে উপকূলীয় ভূমিকে শ্বাসরোধ করে।
বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলে প্লাস্টিক জমা কমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর জন্য সমন্বিত, বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সুন্দরবন বাংলাদেশের উপকূলরেখা বরাবর বিস্তৃত। এটা বেঙ্গল টাইগার ও ইরাবতী ডলফিনসহ বিশ্বের কিছু বিরল প্রাণীর আবাসস্থল।
সুন্দরবনে অসংখ্য জলজ প্রাণী রয়েছে- যার মধ্যে রয়েছে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া ও ৪২ প্রজাতির শামুক অন্যতম। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য এগুলোর উপর নির্ভরশীল।
বনটি বড় ধরনের বন্য প্রাণী- বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, লবণাক্ত পানির কুমির, হরিণ, বানর, শূকর, সাপ, সরীসৃপ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী দ্বারা সমৃদ্ধ। এছাড়াও, বনে অসংখ্য প্রজাতির পাখি রয়েছে।
প্লাস্টিক ও পলিথিনের দূষণ থেকে সুন্দরবনের এই জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণের জরুরি প্রয়োজন।
বন সংলগ্ন বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে বনের জীববৈচিত্র্য এবং প্রাণীদের আবাস্থল রক্ষার জন্য ৫৩০ জনেরও বেশি যুবক ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
খুলনা-ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের উদ্যোগে একটি প্রকল্পের আওতায় তরুণদের সংগঠিত ও ক্ষমতায়ন করে নারী-পুরুষ উভয়ের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।
নুরুল করিম বলেন, ‘সুন্দরবনের দূষণ হ্রাস, পরিবেশের উন্নতি এবং বাংলাদেশে ম্যানগ্রোভ বন ও তাদের প্রভাব অঞ্চল’- শীর্ষক প্রকল্পটি খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা ও পিরোজপুর জেলার ১৭টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই প্রকল্পটি সরকারের তিনটি ‘আর’ (রিডিউস, রিইউজ, ও রিসাইকেল) বাস্তবায়ন কৌশলের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে। সামগ্রিকভাবে এটি প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।
বাসসের সাথে আলাপকালে রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ বলেন, তরুণরা প্লাস্টিক বর্জ্য ও দূষণ প্রতিরোধের পাশাপাশি এর মাটি ও পানিকে আরও অবক্ষয় থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

করেস্পন্ডেন্ট July 19, 2025
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article সুন্দরবনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে জীববৈচিত্র্য অস্তিত্ব সংকটে
Next Article সুন্দরবনের জানা-অজানা বিভিন্ন ইতিহাস জানতে হবে নতুন প্রজন্মকে পর্ব ১১

দিনপঞ্জি

September 2025
S M T W T F S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
« Aug    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

আজ দেবীর বোধন, কাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ‌জুলাই আন্দোলনে কারাবরণকারী ছাত্রদল নেতা সাজিদ আর নেই

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ‌পিআর পদ্ধতি চালুর দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ

By জন্মভূমি ডেস্ক 5 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

আজ দেবীর বোধন, কাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু

By জন্মভূমি ডেস্ক 3 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ‌জুলাই আন্দোলনে কারাবরণকারী ছাত্রদল নেতা সাজিদ আর নেই

By জন্মভূমি ডেস্ক 4 hours ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ‌পিআর পদ্ধতি চালুর দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ

By জন্মভূমি ডেস্ক 5 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?