জন্মভূমি ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আটকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আরও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের ডিসি ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
এই কর্মকর্তা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার দেখানো হবে। তিনিসহ আরও বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে বেশ কিছু মামলা হবে। কারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং পুলিশকে হত্যা করেছে।
এর আগে ভোরে রাজধানীর গুলশান এলাকার বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে তুলে নিয়ে আসেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। বিএনপি মহাসচিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে বলে জানান তারা।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে সাংবাদিকরা মির্জা ফখরুলকে আটকের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, তারা মিটিং করছিল, তারা যখনই মিটিংয়ে বসছেন তখনই ঘটনাগুলো ঘটছে, তাহলে এ দায় কি তারা এড়াতে পারেন?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে যারা যারা ঢুকেছেন, যারা সেখানে হামলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। যতগুলো গাড়ি পুড়িয়েছেন, তাদের নামে মামলা হবে। পুলিশকে পিটিয়ে যারা হত্যা করেছেন, যারা পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে হামলা করেছেন, তাদের নামে মামলা হবে। সাংবাদিকরা যারা আহত হয়েছে, তাদেরও উচিত মামলা করা।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিরাপত্তার জন্য স্থাপিত সমস্ত ক্যামেরাও বিএনপি ভেঙে ফেলেছে, যাতে তাদের শনাক্ত করা না যায়। তিনি যোগ করেন, ২০১৪ সালের মতো তারা একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা অবশ্যই তা থামাবো।
তবে সহিংসতার ঘটনায় কতগুলো মামলা হয়েছে বা কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।