
একদিনের ব্যবধানেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন তামিম ইকবাল। স্বস্তি পেলেন তার ভক্তকূল। শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর এই কথা জানান বাঁহাতি এই ওপেনার। সাক্ষাৎ শেষে তামিম জানান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি খেলায় ফিরে এলেন। রিটয়ারমেন্ট সেই মুহূর্তে তুলে নিলেন। তামিমের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত। তবে এই সিদ্ধান্তে পাপন ও মাশরাফির বড় ভূমিকা ছিল বলেও তিনি জানান। মানসিকভাবে প্রশান্তি ফিরে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী এসময় দেড়মাসের জন্য তাকে ছুটিও দেন। এরআগে অনেকটা হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন তামিম। চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। তখন গড়গড়িয়ে জল পড়ছিল তার চোখ থেকে। পরে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েও ব্যর্থ হন তারা। নাফিস ইকবালের মাধ্যমে ফিরে আসার আহবান জানানো হয়। কিন্তু সাড়া দেননি তামিম। ‘ভিন্ন ভিন্ন’ কারণের কথা বললেও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তামিম। তবে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, অধিনায়কত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ফিটনেস ইস্যুতে আগে থেকেই চাপে ছিলেন। পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের দিন একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দেন পাপন। সেখানে পুরো ফিট না হয়েও খেলবেন, এমন মন্তব্যের জন্য তামিমের সমালোচনা করেন। সেটিই তামিমের সিদ্ধান্তক চূড়ান্ত করে। তামিমের অবসরের ঘোষণায় জরুরি বোর্ড সভা ডাকে বিসিবি। নতুন অধিনায়ক না দিয়ে চলতি সিরিজে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে লিটন দাসকে দায়িত্ব দেয় বোর্ড। নতুন অধিনায়ক না দিয়ে তামিমের জন্য পথ খোলা রেখেছে বোর্ড। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপান। এনিয়ে কথা বলতে শুক্রবার তামিমকে গণভবনে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিসিবি সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা তিনেক আলাপের পর অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচে খেলছেন না তিনি। আপাতত দেড় মাসের মতো সময় বিশ্রামে থাকবেন। জানা গেছে, কিছুদিন পর অবকাশ যাপনে দুবাই যাবেন এই ক্রিকেটার। সবকিছু ঠিক থাকলে এশিয়া কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন তামিম। তামিমের অবসর ভেঙে ফেরার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিসিবি সভাপতিও তার স্বস্তির কথা জানান। তবে প্রধানমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির সাথে সাথে ক্রিকেট অনুরাগীরাও স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলেছেন। তামিম সুস্থ থাকুন এবং দেশের ক্রিকেট অঙ্গনকে আরো বেশি আলোকিত করুন এমন প্রত্যাশা সকলের।