
ফুলতলা প্রতিনিধি : থানা পুলিশের টহল টিম ভোর রাতে ফুলতলার দামোদর এম এম হাই স্কুলের সামনে থেকে ৯২ বোতল ফেনসিডিলসহ রবিউল ইসলাম রুবেল (৪০) নামে ট্রেনের এডেঁনডেন্ট এবং পৃথক অভিযানে ১ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারী মোঃ নাঈম রওফে ভুলু (৫০) এবং রুনা বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ফুলতলা থানায় মামলা হয়েছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জেল্লাল হোসেন বলেন, এসআই হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে টহল পুলিশ সোমবার ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামোদর এম এম হাই স্কুলের সামনে বিভিন্ন গাড়ী ও ইজিবাইক তল্লাসী চালায়। এ সময় ইজিবাইকে থাকা সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের এটেনডেন্ট মোঃ রবিউল ইসলামের ট্রলি ব্যাগ থেকে ৯২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তিনি বাগেরহাট জেলার মোল্যাহাটের কুলিয়া গ্রামের মোল্যা আবুল কালাম আজাদের পুত্র। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রবিউল তার উর্ধ্বতন পাইকারী মাদক কারবারীদের তথ্য প্রদান করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ দ্রুত খুলনার বসুপাড়া এতিমখানা মোড়ের মৃতঃ এ্যাড. শাহীনের ৫তলা ভবনের নিজ তলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে ট্রলি ব্যাগে থাকা ৬ কেজি গাজাসহ মোহাম্মদ নাঈম রওফে ভুলু এবং শফিং ব্যাগে ৪ কেজি গাজাসহ রুনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। ভুলু নিলফামারী জেলার সৈয়দপুরের বাজবাড়ি মদিনা রোড়ের মৃতঃ হাদিস মিন্ত্রীর পুত্র এবং রুনা বেগম বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের গজালিয়া গ্রামের মৃতঃ অহিদ শেখের কন্যা। তারা ওই বাসাটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে কর্মচারী রবিউল ওরফে রুবেলের সহযোগিতায় ভারত থেকে চোরাই পথে সৈয়দপুর থেকে ফেনসিডিল ও গাজার চালান এনে খুলনার বিভিন্ন পয়েন্টে সরবরাহ করে। তারই অংশ হিসেবে ফেনসিডিলের এই চালানটি ফুলতলা এলাকায় তাদের এজেন্ট (মাদক কারবারী) এর নিকট পৌছে দেয়ার জন্য ভোর রাতে রবিউল ওরফে রুবেল নিয়ে আসে। অভিযানে এএসআই শফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল হেলালুজ্জামান, ইসমাইল এবং শুভ ঘোষ অংশ নেন। এ ব্যাপারে এসআই হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে রবিউল ইসলাম রুবেল, মোঃ নাঈম রওফে ভুলু এবং রুনা বেগমকে আসামী করে ফুলতলা থানায় মামলা (নং-০১, তারিখ-০১/১২/২৫) দায়ের করেন। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

