যশোর অফিস : যশোর জেলা যুব দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম এর কাছে বহিস্কৃত জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক এস্কেন্দার আলী জনি ৫০ লাখ টাক চাদাদাবী করে না পেয়ে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার হুমকীর অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত গভীর রাত ১২ টার মামলাটি করেন,যশোর কিসমত নওয়াপাড়ার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে কামরুল ইসলাম। মামলায় আসামী করেন,যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সম্প্রতি জেলা যুবদলের বহিস্কৃত প্রচার সম্পাদক এস্কেন্দার আলী জনিকে।
মামলায় কামরুল ইসলাম উল্লেখ করেন,এস্কেন্দার আলী জনি যশোর যুবদলের প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনকালে দলীয় শংখলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে এবং যশোর জেলা বিএনপির সুপারিশে তাকে গত ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলা যুবদলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিস্কার করা হয়। আসামীকে যুবদলের সদস্যপদ থেকে বহিস্কার হলে গত ১৮ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় কিসমত নওয়াপাড়ার বাদির নিজ বাড়িতে অবস্থানকালে জনি বাদির হোয়াটস অ্যাপে কল দিয়ে বাদির কাছে ৫০ লাখ টাকা চাদাদাবি করেন। বাদি যদি তার দাবীকৃত চাদার টাকা না দেয় তাহলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাদিকেসহ যশোর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এবং যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ যশোর জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বাদির বাদির মান সম্মান ক্ষুন্ন করবে বলে হুমকী ধামকি দেয়। বাদি আসামীর দাবিকৃত চঁাদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে বাদি এবং যশোর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে এবং যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিবসহ যশোর জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত তার ফেববুক আইডি থেকে লাইভে এসে নানা ধরনের কুৎসা রটনা,ভীতি প্রদর্শন,বিদ্বেষমূলক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও প্রচার করছে। তাকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করার পরে গত ১৭ ডিসেম্বর হতে অদ্যবধি উক্তরুপ কর্মকান্ড করে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের অপ্রচারসহ ষড়যন্ত্রমূলক বিদ্বেষ ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে। বিগত স্বৈরাচার সরকারের দোসর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরে ছিল এবং সেখান থেকে তাকে যশোর যুবদলের সেক্রেটারী আনছারুল হক রানা তাকে ভারতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে জনি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সাথে সাধারণ জনগনের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার প্রেক্ষিতে সাধারণ জনগনের মধ্যে জনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাদির কাছে তার দাবীকৃত চঁাদার টাকা না দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সোশাল মিডিয়া ফেসবুক লাইভে এসে বিভিন্ন শ্রেনী বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা,ঘৃন্য,বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। বাদি যুবদলের দপ্তর সম্পাদক