বিজ্ঞপ্তি : পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে সোমবার বিকেল ৫টায় এক সভা অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহবায়ক এড. কুদরত-ই-খুদা এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এস এ রশীদ। সভায় সরকার কর্তৃক পাটকল বন্ধ হবার পরও বসিয়ে বসিয়ে ২ হাজার ৫১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেতন বাবদ খরচ করায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাটশিল্পের বিকাশ না ঘটিয়ে তাকে বিনাশ করার অপচেষ্টা চলছে। লোকসানের কথা বলে অবশিষ্ট ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল বন্ধ করে দেয়া হলো। পাটশিল্পকে ঘিরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যে মর্যাদা ছিল তা ভূলুণ্ঠিত করা হলো। শুধু তাই নয়, বিজেএমসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসিয়ে রেখে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। অথচ এই পাটশিল্পের যে লোকসান কারা করলো, কারা এই দুষ্টচক্র? পাটখাতের দুর্নীতি-লুটপাটের জন্য করা দায়ী তা চিহ্নিত করলো না সরকার। শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য সরকার দেশি-বিদেশি শক্তির হাতে পাটকল এলাকার হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদ তুলে দিতে প্রস্তুত। নেতৃবৃন্দ বন্ধ পাটকল চালু ও আধুনিকায়নের জন্য আগামী অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার আহবান জানান। যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই)সহ অন্যান্য জুটমিলের যে সকল শ্রমিক সঞ্চয়পত্র এখনো পায়নি তাদের অবিলম্বে সঞ্চয়পত্র দেওয়ার জোর দাবি জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) খুলনা জেলা সভাপতি ডা: মনোজ দাশ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ জেলা আহবায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মো: মোজাম্মেল হক খান, গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, সমাজতান্দ্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা সভাপতি আবদুল করিম, গণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক মো: অলিয়ার রহমান, যুব ইউনিয়ন মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, শ্রমিকনেতা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, মো: নূরুল ইসলাম, শামসেদ আলম শমসের, শামস শারফিন শ্যামন, বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি নেতা সেলিম বকুল প্রমুখ।