By using this site, you agree to the Privacy Policy and Terms of Use.
Accept

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • জেলার খবর
    • খুলনা
    • চুয়াডাঙ্গা
    • বাগেরহাট
    • মাগুরা
    • যশোর
    • সাতক্ষীরা
  • ফিচার
  • ই-পেপার
Reading: বাংলাদেশি নারীর বিরল অস্ত্রোপচার
Share
দৈনিক জন্মভূমিদৈনিক জন্মভূমি
Aa
  • মূলপাতা
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • ই-পেপার
অনুসন্ধান করুন
  • জাতীয়
  • জেলার খবর
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধূলা
  • বিনোদন
  • ই-পেপার
Have an existing account? Sign In
Follow US
প্রধান সম্পাদক মনিরুল হুদা, প্রকাশক আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত
দৈনিক জন্মভূমি > আন্তর্জাতিক > বাংলাদেশি নারীর বিরল অস্ত্রোপচার
আন্তর্জাতিকতাজা খবর

বাংলাদেশি নারীর বিরল অস্ত্রোপচার

Last updated: 2024/06/21 at 1:43 PM
স্টাফ রিপোর্টার 11 months ago
Share
SHARE

জন্মভূমি ডেস্ক : সাধারণত বুকের বাঁ দিকে হার্ট থাকে। স্ক্যান, ইসিজি সব কিছুতেই তেমনটাই ধরা পড়েছে। কিন্তু এমন মানুষও এই পৃথিবীতে আছেন, যাদের হৃদ্‌যন্ত্র রয়েছে দেহের ডানপাশে। পৃথিবীতে যত ধরনের বিরলতম রোগ আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি। সম্প্রতি কলকাতার দুটি হাসপাতালে এমন দুটি হার্ট বা হৃদপিণ্ডের অপারেশন হয়েছে, যা ‘অতি বিরল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন চিকিৎসকরা। এই দুই রোগীর মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন ভারতীয়।

বাংলাদেশি নারীর শুধু হার্ট নয়, শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ – যকৃৎ, ফুসফুস, প্লীহা, পাকস্থলী – সবই উল্টোদিকে অবস্থান করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এ রকম রোগী ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে একজন পাওয়া যায়।

বাংলাদেশি ওই নারীর প্রত্যঙ্গগুলি যে উল্টোদিকে অবস্থান করছে, সেটা তার জন্মদাত্রীর গর্ভধারণের সময়কার একটি অবস্থা, কোনও রোগ নয় এটি। আবার যে ভারতীয় রোগীর হার্ট অপারেশন করে পেসমেকার বসানো হয়েছে, তার হৃৎপিণ্ড জন্মের সময়ে নয়, কিছুটা বড় হওয়ার পরে যক্ষ্মা রোগের কারণে স্বাভাবিক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে বুকের ডানদিকে চলে গেছে। এরকম কোনও ব্যক্তির বিশেষ এক পদ্ধতিতে কাজ করবে, এরকম পেসমেকার বসানোর অপারেশন বিশ্বে আগে হয়নি বলেই দাবি করা হচ্ছে।

দুই রোগী কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জানতেন না যে তাদের দেহে হার্ট বা অন্য প্রত্যঙ্গগুলি স্বাভাবিক অবস্থানের উল্টোদিকে রয়েছে। তাদের দুজনেরই চিকিৎসা চলছিল অনুমান নির্ভর এবং অন্তত একজনের ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসাও হয়েছিল।

বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা মোনারাণী দাসের বছর দুয়েক আগে থেকে বুকের ডান দিকে ব্যথা শুরু হয়। পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন ডানদিকে যেহেতু ব্যথা, তাই অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা হচ্ছে।

অপারেশনের পরে এখন মিসেস দাস রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায় তার মেয়ের কাছে। সেখান থেকেই মোনারাণী দাস বলেন, ‘বুকের ডান দিকে ব্যথা শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। এর মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক হয়। সেই চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়েই বাংলাদেশের ডাক্তারেরা বলেন যে আমার হার্ট বুকের ডান দিকে।’

তার মেয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া দাস বলেন, তখনও তারা জানতেন না যে শুধু হার্ট নয়, শরীরের অন্যান্য প্রত্যঙ্গও উল্টোদিকে।

বিষ্ণুপ্রিয়া দাস বলেন, মাকে কল্যানীর এক স্থানীয় ডাক্তারকে দেখিয়েছিলাম। তিনি কলকাতার মনিপাল হসপিটাল ব্রডওয়েতে ডা. সিদ্ধার্থ মুখার্জীর কাছে রেফার করে দেন বাইপাস অপারেশন করানোর জন্য। এই হাসপাতালটির নাম সদ্য পরিবর্তন হয়েছে, এর আগে এটি আমরি হাসপাতাল -সল্টলেক বলেই মানুষের কাছে পরিচিত ছিল।‘মনিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ে’ বলছে ‘গত মাসের ২৪ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় যে শুধু হৃৎপিণ্ড নয়, তার অন্যান্য প্রত্যঙ্গগুলিও উল্টোদিকে অবস্থান করছে।

চিকিৎসকরা বলছেন যে, শুধু হৃদযন্ত্র বা হার্ট বাঁদিকের বদলে ডান দিকে থাকলে তাকে বলা হয় ডেক্সট্রোকার্ডিয়া আর এই বাংলাদেশি নারীর ক্ষেত্রে সব প্রত্যঙ্গগুলি উল্টোদিকে থাকার অবস্থাটিকে বলা হয় ‘ডেক্সট্রোকার্ডিয়া উইথ সাইটাস ইনভার্সিস’।

মোনারাণী দাসের মেয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া দাস আরও বলেন, অন্যান্য প্রত্যঙ্গ ডানদিকে না বাঁ দিকে, সেটা নিয়ে আমাদের কোনও মাথা ব্যথা ছিল না। হার্ট ডানদিকে শুনে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। তবে ডাক্তাররা বলেছিলেন যে চিন্তার কিছু নেই, বাইপাস অপারেশন করলে মা আবার সুস্থ হয়ে যাবেন।

অন্য যে রোগীর সম্প্রতি বিরল হার্ট অপারেশন হয়েছে তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাসিন্দা রেজাউল করিম। তার বুকের ডানদিকে থাকা হার্টে পেসমেকার বসানো হয়। সেই পেসমেকার কাজও করবে সাধারণ পদ্ধতির থেকে অনেকটা ভিন্ন পদ্ধতিতে।

রেজাউল করিমের অস্ত্রোপচার হয় মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বাংলাদেশি রোগীর ক্ষেত্রে তার প্রত্যঙ্গগুলি যেমন তার জন্মদাত্রীর গর্ভধারণের সময়কার একটি বিরল অবস্থা, রেজাউল করিমের ক্ষেত্রে অবস্থা ভিন্ন।

চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি কিছুটা বড় হওয়ার পরে যক্ষ্মা রোগের কারণে হার্ট বাঁ দিক থেকে জায়গা বদল করে বুকের ডানদিকে চলে আসে। রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই খেলাধুলো করতাম। মাঝে মাঝেই দমের কষ্ট হত, কাশি হত। এরপরে প্রায় ২৫ বছর রাজনীতি করেছি, দৌড়োদৌড়ি লেগেই থাকত। স্থানীয় ডাক্তার দেখাতাম, তারা যেমন ওষুধ দিত, সেটাই নিয়মিত খেতাম। কিন্তু কয়েক বছর আগে থেকে খুবই দুর্বল লাগতে শুরু করে। এক পা চললেই যেন আর হাঁটার ক্ষমতা থাকত না। এই অবস্থা দেখে আমার মেয়ে প্লেনে করে ভেলোরে নিয়ে যায়। সেখানে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তারা আমাকে জানতে চেয়েছিল যে ওই যে ওষুধ খাচ্ছি, সেটা তো যক্ষ্মার ওষুধ, আমাকে কেন খেতে দিয়েছে স্থানীয় ডাক্তার।’

ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা রেজাউল করিমকে মাস ছয়েক পরে আবারও যেতে বলেছিলেন। রেজাউল করিম বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমার এমন অবস্থা হল যে নামাজ পড়তে যেয়ে দম আটকিয়ে আসত, সিজদা করে উঠে দাঁড়াতে পারতাম না। নামাজ পড়ার সময়ে দুই তিন বার অজ্ঞানও হয়ে গেছি। অন্য নামাজিরা ধরাধরি করে বাড়ি দিয়ে গেছে।’

ভেলোর থেকে কলকাতা, সব জায়গাতেই বাবার চিকিৎসার সময়ে পাশে থেকেছেন রেজাউল করিমের মেয়ে মোনালিসা ইয়াসমিন। তিনি জানান, ‘ডাক্তাররা বাবাকে প্রথমে বলেননি যে তার হার্ট ডানদিকে আর এত বিরল একটা অপারেশন করতে হবে। প্রায় তিন ঘণ্টা লেগেছিল অপারেশন করতে। বাবা পরে সব কিছু জানতে পেরেছে।’

ডাক্তারদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ আর ভারতের দুই রোগীর কাছাকাছি সময়ে যে কঠিন হার্ট অপারেশন হয়েছে, দুই ডাক্তারের কাছেই তা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।

মোনারাণী দাসের অপারেশন করেছেন মনিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ের ডা. সিদ্ধার্থ মুখার্জী আর রেজাউল করিমের হার্টে পেসমেকার বসিয়েছেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটির ডা. দিলীপ কুমার।

ডা. মুখার্জী জানান, ‘ডেক্সট্রোকার্ডিয়া নিয়ে যে রোগী আসেন, তার অপারেশন করা বেশ কঠিন, কারণ সাধারণত আমরা বেশিরভাগই ডানহাতে কাজ করি আর রোগীর ডানদিকে দাঁড়িয়ে অপারেশন করি। এক্ষেত্রে আমাদের রোগীর বাঁ দিকে দাঁড়িয়ে অপারেশন করতে হয়েছে, সেটা কিছুটা নতুন পরিস্থিতি। তবে আমাদের পুরো টিমই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিল।’

‘এটা যদি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হত, তাহলে সমস্যা কম হত, সেক্ষেত্রে আমরা ক্যাথিটার ঢুকিয়ে দিতে পারলেই হয়ে যেত। কিন্তু এটা তো বাইপাস সার্জারি। আমাদের সব পরিচিত পদ্ধতিরই দিক বদল করতে হয়েছে। জানান মোনারাণী দাসের চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখার্জী।

অন্যদিকে ভারতীয় রোগী রেজাউল করিমের হার্টে পেসমেকার বসিয়েছেন যিনি, সেই ডা. দিলীপ কুমার বলছিলেন, ‘পেসমেকার যন্ত্রগুলি সাধারণত বাঁদিকে হৃৎপিণ্ড আছে, এরকম রোগীদের জন্য তৈরি করা হয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে কন্ডাকশান সিস্টেম পেসিং পদ্ধতি ব্যবহার করব এই রোগীর ক্ষেত্রে। ডানদিকে হার্ট আছে, এরকম কোনও ব্যক্তির পেসমেকার বসানোর জন্য সিএসপি ব্যবহার করা হয় নি সারা পৃথিবীতে।’

চিকিৎসকরা ব্যাখ্যা করছেন কন্ডাকশান সিস্টেম পেসিং বা সিএসপি একটু জটিল পদ্ধতি। কিন্তু সহজভাবে বলতে গেলে এই পদ্ধতিতে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক যে কাজের ছন্দ, সেটাকেই ধরে রাখার চেষ্টা করা হয় পেসমেকার যন্ত্রের মাধ্যমে।

দুই হাসপাতালের দুই চিকিৎসকই জানিয়েছেন যে তাদের রোগীরা এখন ভালই আছেন। কতটা সুস্থ হয়ে উঠলেন, সেটা দেখার জন্য দুজনকেই কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষা করবেন তারা।

- Advertisement -
Ad imageAd image
- Advertisement -
Ad imageAd image
স্টাফ রিপোর্টার June 21, 2024
Share this Article
Facebook Twitter Whatsapp Whatsapp LinkedIn Email Copy Link Print
Previous Article ট্রাভেল ব্যাগে পাওয়া গেল ২০বোতল ফেন্সিডিল
Next Article আলভারেজ-মার্টিনেজের গোলে কোপায় আর্জেন্টিনার শুভসূচনা
Leave a comment

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দিনপঞ্জি

June 2025
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
« May    
- Advertisement -
Ad imageAd image
আরো পড়ুন
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সব গেল ভেসে ঘরে ফিরব কি করে

By করেস্পন্ডেন্ট 25 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার কলারোয়ার খেজুরের গুড়ের হাট

By করেস্পন্ডেন্ট 1 hour ago
খুলনা

ব্যবহৃত কাগজে মোড়া খাবার বাড়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

By করেস্পন্ডেন্ট 11 hours ago

এ সম্পর্কিত আরও খবর

তাজা খবরসাতক্ষীরা

সব গেল ভেসে ঘরে ফিরব কি করে

By করেস্পন্ডেন্ট 25 minutes ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার কলারোয়ার খেজুরের গুড়ের হাট

By করেস্পন্ডেন্ট 1 hour ago
তাজা খবরসাতক্ষীরা

৭বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের শঙ্কা

By করেস্পন্ডেন্ট 13 hours ago

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

প্রকাশনার ৫২ বছর

দৈনিক জন্মভূমি

পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার

প্রতিষ্ঠাতা: আক্তার জাহান রুমা

প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক: হুমায়ুন কবীর বালু

রেজি: কেএন ৭৫

প্রধান সম্পাদক: লে. কমান্ডার (অব.) রাশেদ ইকবাল, প্রকাশক: আসিফ কবীর কর্তৃক জন্মভূমি প্রকাশনী লি: ১১০/২,সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু সড়ক, খুলনা থেকে মূদ্রিত ও প্রকাশিত

Developed By Proxima Infotech and Ali Abrar

Removed from reading list

Undo
Welcome Back!

Sign in to your account

Lost your password?