জন্মভূমি ডেস্ক : বিশ্বের জনবহুল দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৪ লাখের কিছু বেশি। তবে আগামী আরও প্রায় ৪৭ বছর বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। বাংলাদেশিদের প্রজনন উর্বরতার হার স্বাভাবিক থাকলে স্বাধীনতার ১০০ বছর পর্যন্ত জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। এরপর ক্রমেই জনসংখ্যা কমতে থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিভাগের জনসংখ্যা বিভাগ (ইউএনডিইএসএ) এই প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশিদের প্রজনন উর্বরতার হার স্বাভাবিক থাকলে ২০৭১ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২২ কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৯ জন। এ সময় দেশের জনসংখ্যা ঘনত্ব হবে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৭৩৭ জনের বেশি।
প্রজনন উর্বরতার হার উচ্চ হলে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৭ কোটি ২৬ লাখ ৪১ হাজারে। বিপরীতে প্রজনন হার স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলেও জনসংখ্যা বাড়বে ২০৭১ সাল পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে সে বছর জনসংখ্যা হবে ১৮ কোটি ৬০ লাখ ৫২ হাজারের বেশি। এ সময় দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব থাকবে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২০৭৪ জনের বেশি।
এ ছাড়া, চলতি শতক তথা ২১ শতকের শেষ বছর অর্থাৎ ২০৯৯ সালে বাংলাদেশিদের স্বাভাবিক প্রজনন উর্বরতা বজায় থাকলে জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৯৬ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। প্রজনন উর্বরতা বৃদ্ধি পেলে জনসংখ্যা হবে ৩০ কোটি ৮ লাখের বেশি এবং প্রজনন উর্বরতা কমে একই বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা থাকতে পারে ১৩ কোটি ৭৪ লাখের কিছু বেশি।
তবে বর্তমানে বাংলাদেশের প্রজনন হার যদি বজায় থাকে তবে ২০৩৭ সালেই বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০ কোটিতে। একই হারে ২০৭১ সাল নাগাদ অর্থাৎ স্বাধীনতার ১০০ বছর পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২৫ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি এবং এই শতকের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৭ কোটি ৪২ লাখে।
জনসংখ্যা সংক্রান্ত কোনো শর্ত যেমন, জন্ম ও মৃত্যুহার, অভিবাসন, প্রজনন উর্বরতা ইত্যাদি বিষয়ে কোনো পরিবর্তন না হয় তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রথম ২০ কোটির মার্জিন পার করবে ২০৩৮ সালে। ২০৭১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩ কোটি ৩২ লাখে এবং চলতি শতকের শেষ বছর অর্থাৎ ২০৯৯ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে ২৩ কোটি ২০ লাখে।