৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শোকসভা
জন্মভূমি রিপোর্ট : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেছেন, বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র বিকাশের প্রধান অন্তরায়। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন সামরিক স্বৈরশাসক। বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো। স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। জিয়ার গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র। তিনি বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিএনপি মাগুরা ও মিরপুর মার্কা উপ-নির্বাচন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়েছিল। বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী রাজনীতির কারণেই এদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বারবার হোঁচট খেয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার গণতন্ত্রকে ক্রমান্বয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভোটাধিকার সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তিনি দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মো. আশরাফুল ইসলাম, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শেখ সৈয়দ আলী, মোজাম্মেল হক হাওলাদার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রউফ মোড়ল। দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বন্দ ও ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু, মেহেদী মোড়ল, বাচ্চু মোড়ল, এ্যাড. মোফাজ্জেল বন্দ, রিপন হাওলাদার, শেখ জিহাদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।