জন্মভূমি ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকার প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসেও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার জন্য পতিত আওয়ামী লীগ সরকারকেই দুষলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা তথ্যের কারণেই বাজার নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার হিমশিম খাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে তিনি কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এতদিন দেশবাসীকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। বলেছে বছরের পর বছর উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু ঘটনা উল্টো। যার ফলেই অন্তর্বর্তী সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ মজিবুর রহমানের জুট চুক্তি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। এর ফলাফল, ১৯৭৪ সালে ১০ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা গেছে।’
এ সময় তিনি মহার্ঘ্য ভাতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাব দেন। বলেন, যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তরবর্তীকালীন সরকার।
নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে প্রেস সচিব বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে। সেইসঙ্গে কী পরিমাণ সংস্কার চায় তার ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হবে।’
আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যাদের হাতে রক্ত আছে তাদের সবার বিচার হবে। দলটির নেতাদের মধ্যে এখনও কোনো অনুশোচনা নাই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা এই সরকারের নেই। তাদের নিষিদ্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো।’
২০২৫ সালের বাজেট জনবান্ধব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।’