চলতি মাসে সনাক্ত দেড় হাজার, মৃত্যু ৩ জনের
জন্মভূমি রিপোর্ট : বিভাগে ডেঙ্গু সনাক্তে খুলনা রয়েছে শীর্ষে। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৬২ জনের দেহে ডেঙ্গু সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জেলায় রয়েছেন ৪২ জন ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন। এসময় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। খুলনা বিভাগে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয় ১৩৪ জন। সনাক্তের দিকে থেকে সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ১২২১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে এক দিনে ৮ জনের।
ডেঙ্গু রোগী সনাক্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। একই সাথে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। বৃষ্টি মৌসুম শেষ হতে যাওয়ায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাঝে মাঝে বৃষ্টি এবং রোদ ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারে সহায়তা করে থাকে। আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাস থেকেই সাধারণত এমন পরিস্থিতি বিরাজ করে। আর প্রায় ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকে। খুলনা জেলায় চলতি বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪২ জন। এসময়ের মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। একই সময়ে বিভাগে মোট সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৩০১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে ছাড়পত্রসহ বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৬৯ জন। আর চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২৫ জন।
বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আক্রান্ত হয়েছেন বাগেরহাট জেলায় ১ জন, সাতক্ষীরায় ২ জন, যশেঅর ২১ জন, ঝিনাইদহ ১১ জন, মাগুরা ২ জন, নড়াইল ১১ জন, কুষ্টিয়ায় ২১ জন, মেহেরপুর ৩ জন।
চলতি বছর জানুয়ারী মাসে খুলনা বিভাগে মাত্র ৮০ জনের দেহে ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত হয়। ফেব্রুয়ারী মাসে সনাক্ত হয় ৮৬ জনের দেহে। মার্চ মাসে সনাক্ত হয় ৯৫ জনের। এপ্রিল মাসে সনাক্ত হয় ১১০ জনের। মে মাসে সে সংখ্যা বেড়ে হয় ১২৭। এ মাসে যশোর জেলায় মৃত্যু হয় ১ জনের। জুন মাসে সনাক্ত হয় ১৯৭ জনের দেহে। জুলাই মাসে এ সংখ্যা বেড়ে হয় ৩১৮ জন। আগষ্ট মাসে সনাক্তের মোট সংখ্যা হয় ৮১০ জন। এ মাসে যশোর জেলায় মৃত্যু হয় ২ জনের। আর সেপ্টেম্বর মাসে ২৯ দিনে সনাক্ত হয় ১,৪২০ জনের। এ মাসেই মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মুঞ্জুরুল মুর্শিদ বলেন, ডেঙ্গু সনাক্তের সংখ্যা প্রতি মাসেই বেড়ে চলেছে। আগামী আরও দু’মাস এ বৃদ্ধির সংখ্যা থাকতে পারে। তবে ডেঙ্গু কখনও দেশ থেকে উঠে যাবে না। উপযুক্ত সময় এলেই বিস্তার হবে। এখন বর্ষাকাল শেষের দিকে। তাই ডেঙ্গুর বিস্তারও বেড়েছে। তবে মানুষদের সচেতন হতে হবে। তাহলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে আগের মত ভয়াবহ রূপ নিতে পারবে না।