বিজ্ঞপ্তি : বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সভাপতি সুলতাল সালাহ উদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ বিভিন্ন মামলায় শতাধিক নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। সরকারকে আবারও পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা নবায়নে একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের পথ পরিষ্কার করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগে দায়েরকৃত গায়েবী মামলায় ফরমায়েসী রায় দিচ্ছে কাঙ্গারু কোর্ট। এ রায় দেশবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে উল্লেখসহ সোমবার একবিবৃতিতে খুলনা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পুলিশের দায়েরকৃত গায়েবী মামলায় বিএনপি নেতা সোহেল-হেলাল-সফু-নীরব ও টুকুসহ বিভিন্ন আদালতে শতাধিক নেতা-কর্মীকে সাজা ঘোষণা করে লুটেরা সরকারের মনোরঞ্জন করেছেন। বাংলাদেশের জনগণ খুব ভালো করেই জানেন, আইন-আদালত, পুলিশ-প্রশাসন, সচিবালয়-নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করেছে। প্রতিহিংসা পরায়নে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দমন-নিপীড়নে বিশ্বরেকর্ড করেছে শেখ হাসিনা। যার সবচেয়ে বড় উদহারণ- বেগম খালেদা জিয়া। তাকে শুধু কারাবন্দী করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, বিদেশে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করেছে সরকার। সীমাহীন লুটপাট, খুন-গুম-বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, পুলিশ-প্রশাসনকে নগ্ন ব্যবহার ও পুতুল নির্বাচন কমিশন দিয়ে সাজানো-পাতানো আরও একটি নির্বাচনকে বাঁধামুক্ত করতেই বরাবরের ন্যায় আদালতে ব্যবহার করছে সরকার। কোনো কিছুতেই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না, ইনশাআল্লাহ। তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে আইন-আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহারে আওয়ামী ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন খুলনা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মহানগর আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা, জেলা ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।