বিজ্ঞপ্তি : খুলনায় স্বতন্ত্র ক্যান্সার হাসপাতাল ও শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন জনউদ্যোগ,খুলনার নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, এক সময় খুলনাকে শিল্পের শহর বলা হত। কিন্তু শিল্প সহায়ক নীতির অভাবে খুলনার ভারী শিল্পগুলো কালের বিবর্তনে বন্ধ হতে হতে খুলনা শিল্পহীন নগরী হিসেবে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরে খুলনা অঞ্চলের অর্থনীতির উত্থানের অমিত সম্ভাবনা তৈরি এবং খুলনা আবারও শিল্পনগরীতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। অর্থাৎ এই একটি সেতুই হবে ভবিষ্যত খুলনার উন্নয়নের অন্যতম প্রধান ‘অনুঘটক’। এতদঞ্চলের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন, বিশ্বমানের ত্রিমাত্রিক যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা, বহুমাত্রিক পরিবহনের নিশ্চয়তা, বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, সমুদ্র বন্দর ভিত্তিক সুযোগগুলো সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে শুধু জাতীয় অর্থনীতিতে নয় আঞ্চলিক অর্থনীতির রাজধানীতে পরিণত হবে আমাদের খুলনা।
নেতৃবৃন্দ,খুলনা বিমান বন্দর প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দ্রুত কাজ শুরু করা, খুলনায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা, খুলনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন, খুলনার পাটকলসহ বন্ধ সকল মিল-কলকারখানা চালুর ব্যবস্থা, সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন হাব গড়ে তোলা, ভৈরব, রূপসা ও পশুর নদীর নাব্যতা বাড়াতে নিয়মিত ড্রেজিং এর ব্যবস্থা, খুলনায় পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র চালু, সরকারি উদ্যোগে খুলনায় বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং একটি চিড়িয়াখানা স্থাপন, খুলনায় মেরিন একাডেমি ও ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা, খুলনা-যশোর-দর্শনা ডবল রেললাইন স্থাপন, খুলনা থেকে রেলযোগে ঢাকা যাওয়ার জন্য খুলনা-গোপালগঞ্জ রেললাইন স্থাপন, মুন্সিগঞ্জ-সাতক্ষীরা-যশোর রেললাইন স্থাপন এবং খুলনা-ঢাকা কালনা সেতু হয়ে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, শহররক্ষা বাঁধ ও রিভারভিউ পার্ক এবং খুলনায় নভো থিয়েটার দ্রুত বাস্তবায়ন ও ডায়াবেটিক হাসপাতালে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জনউদ্যোগ, খুলনার আহবায়ক মানস কুমার রায়, যুগ্ম-আহবায়ক নারী নেত্রী এ্যাড: শামীমা সুলতানা শীলু, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফুল হক, সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ।