
বিজ্ঞপ্তি
একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইলে জ্ঞানভিত্তিক সমাজগঠন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল দেশে জ্ঞানের ভিত্তিতে বিপুল জনগোষ্ঠী বা যুবসমাজকে উৎপাদনশীল জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বর্তমান সরকার মানুষকে দেখিয়েছে তা আসলেই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনেরই স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে হলে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় যুবসমাজকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হবে। যুবসমাজ শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ঘুরে যাতে উদ্যোক্তা হতে পারে সেজন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ আরও বেশি জোরদার করা দরকার। টেকসই উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের ভ‚মিকা অনস্বীকার্য। আমাদের দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ তরুণ। আমরা যদি আমাদের তরুণ ও যুবসমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারি তাহলেই দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে যাবে। উদ্যোক্তারা যেকোন দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। উন্নত দেশের সফলতার ইতিহাস মূলত সৃষ্টিশীল উদ্যোক্তাদের সক্রিয় ও গঠনমূলক ভ‚মিকারই ইতিহাস। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ, খুলনার যুব সমাবেশে বক্তারা।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় জনউদ্যোগ, খুলনার উদোগে বীরমুক্তিযোদ্ধা আমীর খসরু শিশু বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে যুব সমাবেশ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ, খুলনা নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শিলু। সঞ্চালনা করেন জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন ও জনউদ্যোগ যুব ফোরামের সদস্য সচিব অনুপ মন্ডল। অতিথি ছিলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মীর্জা মোঃ শাহরিয়ার মাসউদ, বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের উপ নিবন্ধক মাসুদা পারভীন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর খুলনার কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের সুপার নবনীতা দত্ত, অধ্যক্ষ সাজেদা ইসলাম, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইসরাত আরা হীরা। বক্তৃতা করেন কবি নূরুন্নাহার হীরা, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, কৃষ্ণা দাস, মমতাজ সুলতানা কবিতা, জেরিন সুলতানা, জয় বৈদ্য, রিপন বিশ্বাস, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে যুব সেলের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।