জন্মভূমি ডেস্ক : মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজু ভারতকে ১৫ মার্চের আগেই তাঁর দেশ থেকে ভারতের সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন। সম্প্রতি ভারতের সাথে মালদ্বীপের কূটনৈতিক বিরোধের মাঝেই মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নয়াদিল্লীর কাছে এ প্রস্তাব করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, চীন থেকে ফিরে আসার পরপরই মুইজ্জুর এ প্রস্তাব এসেছে। এর আগে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি ভারতকে আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশটি থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলে ।
জানা যায়, চীনপন্থী মুহাম্মদ মুইজ্জু নির্বাচনের আগেই ভারত খেঁদাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর ক্ষমতায় এসেছিলেন। এবং ভারত থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া এ প্রক্রিয়ারই অংশ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
বর্তমানে মালদ্বীপের ডর্নিয়া নামক স্থানে ভারতের ২২৮ টি সামুদ্রিক টহল বিমান এবং দুটি এইচএএল ধ্রুব হেলিকপ্টার রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৭০ জন ভারতীয় সেনা মালদ্বীপে অবস্থান করছে। নির্বাচনের আগে ভারতীয় সৈন্যদের অপসারণ ছিল মুইজ্জুর দলের প্রধান প্রচারণার অস্ত্র।
ভারতের সরকারী সূত্র থেকে জানা যায়, এর আগে দুবাইতে ঈঙচ২৮ জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির মধ্যে বৈঠকের সময় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছিল।
মুইজ্জু ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই দৃঢ়ভাবে জানান যে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনো বিদেশী সামরিক উপস্থিতি থেকে “মুক্ত” থাকা নিশ্চিত করতে তিনি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, মালদ্বীপ ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য খুবই ছোট। মালদ্বীপের বর্তমান পররাষ্ট্রনীতিতে হস্তক্ষেপে তার কোনো আগ্রহ নেই বলেও জানান তিনি।
দেশটিতে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলেও এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও কমতে থাকে যখন মালদ্বীপের তিনজন উপমন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
৩ মন্ত্রীর মন্তব্যের পর ভারতীয়রা মালদ্বীপকে বয়কট করে এবং এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বয়কট মালদ্বীপ ট্রেন্ডও বেশ জোড়েসোরে আলোচিত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, মুইজ্জু সম্প্রতি বলেছিলেন যে তার দেশ ছোট কিন্তু হিংসাপরায়ন না।