সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: পন্য আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বেড়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনে। গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের ত্লুনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ৬৬ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় বেশি হয়েছে। যার প্রবৃদ্ধির হার ৩৩.৯৮ শতাংশ।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান শুল্ক স্টেশনে সেবার মান ভালো হওয়ায় তার ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজিব রাজু জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই হতে অক্টোবার পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকার পন্য আমদানি হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮০২ টন। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ১৯৮ টাকা। তিনি আরো বলে গত অর্থবছরের একই অর্থাৎ জুলাই হতে অক্টোবার পর্যন্ত ভোমরা বন্দরে পন্য আমদানি হয়েছিলো ১০ লাখ ৯ হাজার ৩৫৪ টন। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব হয়েছে ১৯৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৪ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ বন্দরে পন্য আমদানি কমেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৫২ টন। অন্যদিকে পন্য আমদানি কমলেও রাজস্ব বেড়েছে ৬৬ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৪ টাকা। যার প্রবৃদ্ধির হার ৩৩.৯৮% বলে জানান তিনি।
তবে বন্দরের একাধিক ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা জানান, বর্তমান শুল্ক স্টেশনে সেবার মান আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে। কোনো হয়রানি ছাড়াই পন্যের এলসি অনুযায়ী ফাইল বা কাগজপত্র ছাড় করাতে পারছেন তারা।
এব্যাপারে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্ব থাকা কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার মো: এনামুল হক জানান, সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তার নেতৃত্বে কাস্টমস্ কর্মকর্তা কর্মচারীগন। কোনো অনিয়ম বা দূর্নীতির প্রোশ্রায় নেই এখানে। তেমনি ব্যবসায়ী বা আমদানি রপ্তানিকারকদের প্রত্যাশিত সেবা থেকেও যেন কেউ বঞ্চিত না হয় সেদিক টাও গুরুত্বের সাথে দেখা হয়ে থাকে। তিনি আরো বলেন, দেশের অন্য কোনো বন্দরের তুলনায় ভোমরা ব্যবসায়ী খুব সহজেই পন্য আমদানি রপ্তানি করতে পারে। এর মুল কারন হলো ভোমরা থেকে কলকাতার দুরুত্ব যেমন কম তেমনি পন্য বা যানজট থাকে না এ বন্দরে। কাস্টমস্ বা বন্দর থেকে সদ্য দিনেই মালামাল ডেলিভারি নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বন্দর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনে চার মাসে ২৬১ কোটি টাকার রাজস্ব আয়

Leave a comment