বিজ্ঞপ্তি : খুলনা বিএনপির সদস্য, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনির বাড়িতে শাসক দলের সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাঙচুর এবং সোনাডাঙ্গায় নাটকীয় গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০জন নেতা-কর্মীর নামে পুলিশের গায়েবী মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খুলনা বিএনপি নেতারা।
মঙ্গলবার প্রদত্ত নেতৃবৃন্দ বলেন, গত সোমবার দিনগত গভীর রাতে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহবায়ক হাফিজুর রহমান মনির বাড়িতে হামলা চালিয়ে শাসকদল কাপুরুষতার পরিচয় দিয়েছে। ক্ষমতা হারানো ভয়ে দিশেহারা হয়ে মাছের পরিবর্তে ছিপে কামড় দিয়ে শাসক দলের সন্ত্রাসীরা প্রমান করেছে তারা সংঘাতে বিশ^াসী। হামলা-মামলা পরিহারের আহবান জানিয়ে নেতারা বলেছেন, প্রতিটি ঘটনা বিএনপি মনে রাখবে এবং যথাসময়ে জবাব দেয়া হবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সরকারি এজেন্টরা বিভিন্ন ধরণের নাশকতা সংঘটিত করছে এবং সেই নাশকতার ঘটনায় বিএনপির নেতাদের নামে গায়েবী মামলা দায়ের করছে পুলিশ। সোনাডাঙ্গার এম এ বারী সড়কে কে বা কারা গাড়ি পুড়িয়েছে অথচ পুলিশ বাদী হয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৫০জন নেতার নামে মামলা করেছে যা রীতিমত হাস্যকর। অবিলম্বে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরণের গায়েবী মামলা দায়ের না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, কাজী মো. রাশেদ, স. ম. আ. রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি ও হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ প্রমুখ। অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সদর থানা আহবায়ক কে এম হুমায়ুন কবীর (ভিপি হুমায়ুন), খালিশপুর থানা আহবায়ক জাহিদুর রহমান, দৌলতপুর থানা আহবায়ক মুর্শিদ কামাল, সদর থানা সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, খালিশপুর থানার সদস্য সচিব হাবীবুর রহমান বিশ^াস, দৌলতপুর থানা সদস্য সচিব ইমাম হোসেন, খানজাহান আলী থানা সদস্য সচিব আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস প্রমুখ।