জন্মভূমি ডেস্ক : মাদারীপুরে শাহাদাত ঘরামী নামে এক যুবককে পরিকল্পিত হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লাইলাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। এ সময় অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মোটরসাইকেল চালক শাহাদাত ঘরামীকে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বড়দুলালী গ্রাম থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন ফজলে, সেন্টু ও মিরাজ। নিহত শাহাদাত একজন মোটরসাইকেল চালক। তাকে মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয় অভিযুক্ত ফজলে, সেন্টু ও মিরাজ। এরপর তারা মাদারীপুরের মস্তফাপুর এলাকার এক নির্জন স্থানে নিয়ে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার দুইদিন পরে নিহতের পিতা মোকসেদ ঘরামী মাদারীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে মামলার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মোটরসাইকেল চালক শাহাদাতকে খুনের ঘটনার দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। অভিযুক্ত তিনজনই বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা।
মাদারীপুর জজ কোর্টের পিপি সিদ্দিক সিং ঘটনা সততা স্বীকার করে বলেন, আমরা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণ করতে পেরেছি আসামিরা ভিকটিমকে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, মামলার অন্যতম আসামি ফজলের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে ছয়টি ডাকাতি ও হত্যা মামলার অস্তিত্ব পায়। এছাড়াও সেন্টু ও মিরাজ নামে দুই আসামি বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে।
এদিকে মামলার বাদী শাহাদাতের পিতা মোকসেদ ঘরামী আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই আদালত দ্রুততার সঙ্গে রায় কার্যকর করুক।