জন্মভূমি ডেস্ক : মালদ্বীপে ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে মুসলিমপ্রধান দেশটিতে আর কোনো ইসরায়েলি প্রবেশ করতে পারবে না। মালদ্বীপের এই সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের এবং সেইসঙ্গে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালদ্বীপ সফর এড়ানোর সুপারিশ করেছে। ইসরায়েল একইসঙ্গে মালদ্বীপ ত্যাগ করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা সেখানে বিপদে পড়লে তাদের সহায়তা করা কঠিন হবে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র রবিবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ইসরায়েলি পাসপোর্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ তবে কবে নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বা কবে শেষ হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি ওই মুখপাত্র। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতিতে মালদ্বীপবাসী’ নামে একটি জাতীয় তহবিল সংগ্রহের প্রচারণাও ঘোষণা করেছেন।
২০২৩ সালে প্রায় ১১ হাজার ইসরায়েলি মালদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন, যা মোট পর্যটকের ০.৬ শতাংশ। দেশটির সরকারি তথ্যে আরো দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মালদ্বীপে যাওয়া ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৫২৮-এ নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৮ শতাংশ কম।
মালদ্বীপের বিরোধী দল ও সরকারি দলের মিত্ররা গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদের নিদর্শন হিসেবে ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করার জন্য মুইজ্জুকে চাপ দিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮২ হাজার।
মালদ্বীপ ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের ওপর থেকে আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল এবং ২০১০ দুই দেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ক্ষমতাচ্যুত করার পর সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।