বিজ্ঞপ্তি : মিথ্যা অস্ত্র ও মাদক মামলায় হয়রানী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজা লিটন গংদের গ্রেপ্তার দাবিতে শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেলাল হোসেন বলেন, নগরীর খালিশপুর থানার উত্তর কাশিপুর পদ্মা রোডের তেতুলতলা এলাকার বাসিন্দা। আমার বড় ভাই বিল্লাল শেখকে মিথ্যা অস্ত্র ও মাদক মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ি ও একাধিক মামলার আসামি লিটন ওরফে আজা লিটন, জয়নাল ও আল আমিন গংদের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে দৌলতপুর পূর্ব দেয়ানাস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদ রোডের আবেদ আলীর মালিকানাধীন ভাড়াটিয়া বাসা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি শর্টগান, চার রাউন্ড গুলি ও কিছু মাদক উদ্ধার করে। পরবর্তীতেএই বাসার ভাড়াটিয়া হিসেবে আমার ভাই বিল্লাল শেখকে মামলার আসামি করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক মোঃ আতাউর রহমান বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অথচ দৌলতপুর থানার ওই এলাকায় আমার ভাইয়ের কোন বাসা নেই। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খালিশপুর এলাকায় বসবাস করি। আমার ভাইকে ফাসানোর জন্য আজা লিটন গং এ অস্ত্র ও মাদক মামলা সাজিয়েছে।
সত্য ঘটনা হচ্ছে, খালিশপুর তেতুলতলা এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আমার ভাই বিল্লাল শেখ প্রতিবাদী ছিল। এ কারণে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ি ও সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে আমার ভাইকে হুমকি-ধামকিও দেওয়া হয়। দুই মাস আগে একাধিক মামলার আসামি লিটন ওরফে আজা লিটন, জয়নাল ও আল আমিন দৌলতপুর দৌলতপুর পূর্ব দেয়ানাস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদ রোডের আবেদ আলীর মালিকানাধীন টিন সেডের ওই বাড়িটি ভাড়া নেয়। আর ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিনব কৌশল গ্রহণ করে। ওই সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের ন্যাশনাল আইডি কার্ড ম্যানেজ করে খালিশপুর তেতুলতলা এলাকার রোকেয়া ওরফে বুড়ি নামের এক মহিলাকে দিয়ে ওই বাড়ীর মালিকের কাছে পাঠায়।
ঐ মহিলার কাছে এক হাজার টাকা অগ্রীম দিয়ে আমার ভাইয়ের নামে বাসাটি ভাড়া নেয়। এরপর ঐ সন্ত্রাসীরা মাঝেমধ্যে ঐ বাসায় গিয়ে থাকতো। আমার ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করার পর অনেক খোজাখুজির পর ওই মহিলার সন্ধান পেয়ে আমরা সত্য ঘটনা জানতে পারি। রোকেয়া ওরফে বুড়ি নামের ঐ মহিলা আমাদের কাছে স্বীকার করে বলেছে যে আজা লিটন, জয়নাল ও আল আমিন তাকে ওই বাড়িতে দুইবার পাঠিয়েছিল। প্রথমবার বিল্লালের আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং এক হাজার টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছিল। এরপর এক মাসের ভাড়া দিয়ে আসার জন্য পাঠিয়েছিল। এরপর তিনি আর সেখানে যাননি।
আমার ভাই বিল্লাল শেখ পদ্মা তেলের ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তার আয়ের উপর আমাদের সংসার চলে। মিথ্যা মামলা নিয়ে আমার ভাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পরিবারের সবাই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছে। কুখ্যাত সন্ত্রাসী লিটন ওরফে আজা লিটন, জয়নাল ও আল আমিনের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ কমপক্ষে ১০টি মামলা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে ২০১৬ সালে খালিশপুরে আলোচিত সুজন হত্যা, ২০২১ সালে চা বিক্রেতা লিটন হত্যা। এই সন্ত্রাসীদের সাথে রয়েছে মাদকদ্রব্য ও পুলিশের কথিত সোর্সদের সুসম্পর্ক। ফলে তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এছাড়া বিভিন্নভাবে হয়রানী করে। আমরা এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী গংদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানাই।
মিথ্যা অস্ত্র ও মাদক মামলায় হয়রানী বন্ধের দাবি
Leave a comment