জন্মভূমি রিপোর্ট : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। ইতোমধ্যে মসজিদটি নির্মাণের সব ধরণের কাজ শেষ হয়েছে। ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদটির উদ্বোধন করবেন বলে জানাগেছে। এই মডেলৈ মসজিদি ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মাণ ব্যায় হয়েছে ১২ কোটি। মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে নব্বইরশী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পুরাতন টাউন জামে মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়েছে এ নয়নাভিরাম মসজিদটি। নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে, নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০২০ সালে, কিন্তু জায়গার জটিলতা, দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতি, করোনা মহামারীর কারনে কাজটি যথাসময়ে শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়েছে সিকিউরিটি গার্ড রুম,রয়েছে গাড়ি পার্কিং জোন, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও আছে নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে নির্মাণশৈলীতে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। দেখা গেছে, শিশুশিক্ষা, লাইব্রেরী, রিসার্চ সেন্টার, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, প্রতিবন্ধীদের কক্ষ, অতিথিশালা, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র ও সুদৃশ্য সাড়ে ৯ তলা বিশিষ্ট মিনার। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ভৌত অবকাঠামো বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মোরেলগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করছেন মেসার্স সানভীম নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৪২ শতক জমির উপর সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে মডেল মসজিদটি। তিনতলা এ মসজিদটির নিচতলা ১৭ হাজার বর্গফুট, ১ম তলা ৮ হাজার ৮শ বর্গফুট ও দ্বিতীয় তলা ৮০০০ বর্গফুট। মডেল মসজিদ নির্মাণ হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা, তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, এ উপজেলায় এটিই প্রথম আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। দেখে মন জুড়িয়ে যায়। কয়েক বছর ধরেই নির্মাণ কাজ চলে আসছে। এখন কাজ শেষ দেখতে পাচ্ছি। খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি কবে এ মসজিদে নামাজ পড়তে পারবো। এ ব্যাপারে বাগেরহাট জেলা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকোশলী শাহ-আলম ফারুক চৌধুরী জানান, সরকার গৃহায়ন ও গণপূর্ত-এর অধীনে মোরেলগঞ্জে মডেল মসজিদটি নির্মাণ করছে সানভীম কনস্ট্রাকশন নামের প্রতিষ্ঠান। মডেল মসজিদের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ৩১ জুলাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন। এর আগে সব কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি ৩১ তারিখে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।