ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযানে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে চাঁদ উদ্যান ৬ নম্বর রোডের আসাদুজ্জামান তালুকদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত দুজন হলেন, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ গ্রামের মো. শাহজাহান আলীর ছেলে মিরাজ হোসেন (২৫)। তিনি মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকার ৮ নম্বর রোডের সান্দামির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
অপরজন হলেন, শরিয়তপুর জেলার গোসাইর হাটের দেশভুয়াই গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে মো. জুম্মন (২৬)। তিনি চাঁদ উদ্যান এলাকার ৫ নম্বর রোডের হুজুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাঁদের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আটক হয়েছেন—ভোলা জেলার দুলারহাট থানার নীলকমল এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মো. হোসেন (২৩), একই জেলার লালমোহন উপজেলার মিরাজ (২৫), মমিনুল (২০), মেহেদী (১৭) এবং বরিশালের মুলাদী উপজেলার সেলিমপুর গ্রামের মো. রহিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৪)। তারা সবাই চাঁদ উদ্যান ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকেন। তারা মোহাম্মদপুর থানা হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসআই মোমিন বলেন, গতকাল মধ্যরাতে যৌথ বাহিনীর কাছে তথ্য আসে যে-চাঁদ উদ্যানের লাউতলায় কিছু শীর্ষ সন্ত্রাসী বৈঠক করছে। এমন খবরের প্রেক্ষিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল চাঁদ উদ্যানের লাউতলায় গেলে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এভাবে দুই থেকে তিন মিনিট গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে পাঁচজন সন্ত্রাসী চিৎকার করে আত্মসমর্পণ করে।
এই আত্মসমর্পণকারীদের গ্রেপ্তার করার সময় তাঁদের দুই সহযোগী সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছে একটি রিভলবার ও কিছু গুলি পাওয়া যায়। পাঁচজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান এসআই মোমিন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই সেনা সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পাঁচজনকে বাসার বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করি। এরপর তাদের নিয়ে আমরা বাসার ছাদে উঠি। সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত দুটো বডি দেখতে পাই। তাদের একজনের হাতে পিস্তল, আরেকজনের হাতে চাপাতি দেখতে পাই। তাদের সঙ্গে আরও একাধিক লোক ছিল, যারা বাসার বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদপুরে যৌথবাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

Leave a comment