জন্মভূমি রিপোর্ট
‘চিংড়ি শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে খুলনার বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, মৎস্য সেক্টরে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে হলে সরকারের পাশাপাশি মৎস্যচাষি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট শিল্পের মালিকদের নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে। এই সেক্টরে একবার ধস নামলে কিছুই করার থাকবে না। জিডিপিতে মৎষ্যখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকার পরীক্ষামূলক ভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়ায় আগামীতে এই সেক্টরে আরো সফলতার আশা করেন তিনি। সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বাগদা ও গলদা চিংড়ির যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। চিংড়ির উৎপাদন কিভাবে আরো বৃদ্ধি করা যায় ও উৎপাদনে কোথায় সমস্যা আছে তা খুঁজে বের করতে হবে। রপ্তানির জন্য সংগ্রহ করা মাছে কোন অপদ্রব্য আছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে, কারণ এর সাথে দেশের স্বার্থ জড়িত।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল, মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান খাঁন ও মোঃ হাবিবুর রহমান। বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আমিন উল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত জানান বিএফএফইএ’র সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবির। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমইও সি-ফুডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শ্যামল সিংহ দাস।
সেমিনারে খুলনার বিভিন্ন ফিস প্রসেসিং ফ্যাক্টরির মালিক ও মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা অংশ নেন।