যশোর প্রতিনিধি : যশোর এলজিইডি’র উন্নয়নে যশোরের গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গ্রামগুলোতে এখন পেয়েছে শহরের ছোয়া।প্রতি বছরই বাড়ছে অবকাঠামো উন্নয়নের পরিমাণ।গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে গ্রামীণ রাস্তাঘাট উন্নয়ন পরিকল্পনা দ্বিগুণের বেশি। চলতি বছরেই সড়ক উন্নয়ন হতে যাচ্ছে সাড়ে ৮’শ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক।যেখানে গত অর্থবছরে উন্নয়ন হয় মাত্র ৩৭৮.৫ কিলোমিটার সড়ক। যেখানে গত বছরের তুলনায় ৪৭১.৫ কিলোমিটার বেশি সড়ক উন্নয়ন হওয়ার পথে।
এদিকে কয়েক বছরে ব্যাপক হারে গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নের ফলে গ্রাম অঞ্চলেও শহরের মতো সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে। যার ফলে গ্রামীণ জীবন ব্যবস্থা পুরোটাই বদলে গেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন ,যশোরে এলজিইডির গ্রামীণ সড়ক রয়েছে ৩৯ হাজার ৩১৮ কিলোমিটার। আর এর মধ্যে মোট ২৭ হাজার ৬৬০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন হয়েছে। যার মধ্যে কার্পেটিং হয়েছে ২৬ হাজার ৬৩ কিলোমিটার এবং হ্যারিং বা ডাব্লু বিএম বা ইটের সলিং হয়েছে ১৫৯৭ কিলোমিটার। গ্রামের অধিকাংশ কাঁচা রাস্তা বর্তমানে কার্পেটিং এবং ইটের হয়ে গেছে। আগের মত এখন কাঁদা-পানিতে ছ্যাত ছ্যাত করে না গ্রামের রাস্তা। ঘরের সাথেই পাকা রাস্তা। যার ফলে গ্রামের রাস্তায় সব সময় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের অভাব থাকে না। গ্রামের মানুষ এখন কোথাও যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেই বাড়ি হতে বের হওয়ার সাথেই গাড়ি এবং মুহূর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে গন্তব্যে।
স্বল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। গ্রামীণ অর্থনীতিতেও এসেছে পরিবর্তন। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সহজেই বাজারজাত করতে পারছেন। শহরের বাজার দরের সাথে গ্রামের বাজার দর এক হয়ে গেছে। কৃষকের লোকসান দিতে হচ্ছে না। চিকিৎসা বা অন্য কোন প্রয়োজনে দ্রুততম সময়ে শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছে গ্রাম।
যশোর এলজিইডি’র তথ্য মতে, চলতি অর্থ বছরে সাড়ে ৮’শ
কিলোমিটার বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। অধিকাংশ কাজ চলমান রয়েছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যশোরাঞ্চলে ৩৭৮.৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন হয়। যার এর মধ্যে কার্পেটিং হয়েছে ১৯৬ কিলোমিটার, সংস্কার ১৮৫ কিলোমিটার,ইউনিব্লক ১০ কিলোমিটার, হেরিং আড়াই কিলোমিটার এবং আরসিসি ঢালাই হয়েছে ৭ কিলোমিটার।
যশোর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, গ্রাম অঞ্চলে শুধু সড়ক নয় এলজিইডির প্রতিটা সেক্টর উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে। যশোরে এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে পাকা রাস্তা নেই। বর্তমানে গতিশীল উন্নয়ন হচ্ছে। আশা করি বর্তমানে যে উন্নয়ন চলমান রয়েছে এতে গ্রামের চিত্র আরো পরিবর্তন হয়ে যাবে। গ্রামের মানুষ এখন আর কাঁদার মধ্য দিয়ে চলাচল করে না। কৃষকের ফসল উঠানোর জন্য মাঠের রাস্তাও কাঁদা মুক্ত করার জন্য হ্যারিং করা হচ্ছে। এভাবে গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়ন হলে আগামী কয়েক বছর পর গ্রামে কাঁচা রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানান, যশোর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুল ইসলাম।