যশোর প্রতিনিধি : যশোরে পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটরকে পেটানোর ঘটনায় মানববন্ধন করেছে আইনজীবীরা। একজন পিপি’র উপরে এ ধরনের হামলা ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে মানববন্ধনে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার দাবি ওই পিপি ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে তোলা তুলে খান।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মুর্তজা ছোটর নেতৃত্বে শতাধিক আইনজীবী মানববন্ধনে অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আইনজীবী সমিতির (২য় ভবন) সামনের ফুটপথে কিছু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী টেবিল পেতে কাপড় বিক্রি করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে জোর করে উঠিয়ে, অন্য একজনকে বসায় শাহীন নামে এক ব্যক্তি। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্দেশে তিনি এ টেবিল বসিয়েছেন। এটা কেউ উঠালে তার হাত কেটে নেয়া হবে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। এরপর এসআই হেলাল মিমাংসার জন্য গত রবিবার ৯ (জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহীনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠান। একইসাথে তাকেও (আওয়ামী লীগ নেতা ও পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে) ফাঁড়িতে ডেকে নেন। কিন্তু হঠাৎ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ফাঁড়িতে আসেন। তিনি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ধান্দাবাজি করিস উল্লেখ করে মারপিট শুরু করে। একজন রাজনৈতিক নেতা কর্তৃক এ ধরনের আচরণ ন্যাক্কারজনক। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয় এজন্য ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা করা হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
তবে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার দাবি ওই আইনজীবী ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে তোলা তুলে খান। এটা ন্যাক্কারজনক।